আইরিন বেনাপোল(যশোর): ভাল কাজের প্রলোভনে বিভিন্ন সময় ভারতের পাচারের পর আটক বাংলাদেশিদের মধ্যে ১৭ শিশু কিশোরকে মুক্তি দিয়েছে ভারত সরকার। এদের বাড়ি যশোর,নড়াইল,খুলনা ও সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
বুধবার(২৭ আগস্ট) বিকাল ৫ টায় ভারতের পেট্রাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে ট্রাভেল পারমিটে এদের বেনাপোল চেকপোষ্টে ফেরত পাঠানো হবে নিশ্চিত করেছে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান।
রাইটস যশোরের তথ্য ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা তৌফিকুজ্জামান জানান, দেশের বিভিন্ন সীমান্ত পথে তারা ভারতে গিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল।পরে এদের তথ্য যাচাই -বাচাই শেষে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় স্বদেশ প্রত্যাবাসনের অনুমতি দেয়। এদের বয়স ১৮ বছরের নিচে। মানবাধিকার সংগঠন সীমান্ত থেকে শিশু, কিশোরদের আইনী সহয়তা ও কর্মসংস্থান তৈরীর জন্য প্রাথমিক ভাবে হেফাজতে রাখবে।পরে পরিবারের কাছে তাদের পৌছে দেওয়া হবে।
জানা যায়, পাচার প্রতিরোধে কাজ করছে দেশি, বিদেশি বিভিন্ন সংগঠন। তার পরেও থেকে নেই পাচার কার্যক্রম। কখনো ভাল কাজ কখনো প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে নারী,শিশুদের ভারতে পাচার করে আসছে একটি চক্র। পরে সেখানে নিয়ে বিক্রি করে ইচ্ছের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে ঝুকিপূর্ন কাজে। যা পাচার হচ্ছে তার মাত্র ৫ শতাংশ উদ্ধার হচ্ছে। বাকিদের কোন সঠিক তথ্য নেই কোন সরকারী বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে। এমন পাচারের শিকার ১৭ বাংলাদেশিকে উদ্ধারের পর ফেরত আনতে সরকারের পাশাপাশি কাজ করে মানবাধিকার ও এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলো। এরা বিভিন্ন সময় পুলিশের হাতে আটকের পর ভারতের পশ্চিম বঙ্গের একটি হোমের আশ্রয়ে ছিল। এদের বয়স ১০ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। আটকের পর আইনি জটিলতায়ন কেউ কেউ দুই বছর থেকে ৫ বছর পর্যন্ত ভারতের হোমে থাকতে হয়েছিল।পরে ভারত-বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া স্বদেশ প্রত্যাবাসনে এরা দেশে ফেরার সুযোগ পায়।
মানব উদ্ধার ও শিশু সুরক্ষা সংস্থ্যার চেয়ারম্যান সৈয়দ খায়রুল আলম জানান, তাদের তথ্য মতে পাচারের শিকার প্রায় ৫০ হাজারের মত নারী,পুরুষ যারা ভারতে রয়েছে। পাচারের পর এদের মধ্যে অনেককে ভারতে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। কাউকে প্রেমের প্রলোভনে ভারতে নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছিল। অনেকের কাজের কথা বলেও প্রতারনা করে চক্রটি। ভারতে বিক্রির পর তাদেরকে দিয়ে ঝুকিপূর্ন কাজ করতে বাধ্য করে পাচারকারীরা।