এন এ মুরাদ, মুরাদনগর: কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কোম্পানীগঞ্জ এলাকায় উল্টো পথে অবাধে যান চলাচল এখন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই বিপরীতমুখী গাড়ির চাপে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট, বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
সরেজমিনে দেখা যায়, যানজট নিরসন ও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে মহাসড়কে ডিভাইডার স্থাপন করা হলেও তা কার্যত কোনো কাজে আসছে না। সড়কের দু’পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড ও বাস-ট্রাকের অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। এরই মধ্যে ডিভাইডারের দুই দিক দিয়েই সিএনজি, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, ছোট বাস ও ট্রাক উল্টো পথে ছুটে চলে, ফলে প্রতিদিন ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে এবং ভয়াবহ যানজট তৈরি হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা ও জরুরি রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স।
স্থানীয়রা জানান, নিয়ম মেনে চলা চালক ও পথচারীরা মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়ছেন। একজন ব্যবসায়ী বলেন, “প্রতিদিনই উল্টো পথে গাড়ি যেতে দেখি। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে, যে কোনো সময় পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডের মতো প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।”
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয়রা জানান, মাসে এক-দু’বার ট্রাফিক পুলিশ বা হাইওয়ে পুলিশ এলে সামান্য অভিযান চালানো হয়, কিন্তু কঠোর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না।
সড়ক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোম্পানীগঞ্জ এলাকায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি জোরদার করা, স্থানীয় চালকদের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং উল্টো পথে গাড়ি চালানোর জন্য কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি।
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) ফারুক হোসেন বলেন, “জনবল সংকটের কারণে সবসময় নজরদারি সম্ভব হয় না। তবে শিগগিরই অভিযান বাড়ানো হবে এবং নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মিরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পারভেজ আলী জানান, “অধিকাংশ চালক আইন মানেন না, খেয়ালখুশিমতো গাড়ি চালান। এতে যানজট তৈরি হয়। প্রতিদিন দুপুরে হাইওয়ে পুলিশের একটি দল এ সমস্যা নিরসনে কাজ করে। উল্টো পথে গাড়ি চালালে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”