শিরোনাম

প্রকাশিত : ২২ আগস্ট, ২০২৫, ০৫:৪৭ বিকাল
আপডেট : ২২ আগস্ট, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কাপাসিয়ায় জমে উঠেছে 'পাকা তাল' বিক্রি!

এ এইচ সবুজ, গাজীপুর: গাছে গাছে পাকা তাল চোখে পড়লেই মনের অজান্তেই মনে পড়ে 'ভাদ্র মাসে তালের পিঠা, খাইতে লাগে জবর মিঠা'এই বাক্যটি। উল্লেখিত লাইনটি যেন কাপাসিয়া উপজেলার মানুষের সাথে মিশে যায়। কারণ এই উপজেলার প্রতিটি এলাকায় প্রচুর পরিমাণে তাল উৎপাদিত হয়। 

বাংলায় শ্রাবণ-ভাদ্র, আর ইংরেজিতে (জুলাই-আগষ্ট) মাস আসলেই কাপাসিয়ার বিভিন্ন হাটবাজারে পাকা তাল পাওয়া যায়। ছোট-বড় বিভিন্ন হাটবাজারগুলোতে পাকা তাল বিক্রি হচ্ছে ব্যাপক। 

উপজেলার সবচেয়ে বৃহৎ পাকা তাল কেনাবেচার হাট বসে রায়েদ ইউনিয়নের আমরাইদ বাজারে। এই বাজারে দূর-দূরান্ত থেকেও পাইকাররা আসেন তাল কিনতে। এই বাজার থেকে পাকা তাল কিনে পাইকাররা নিয়ে যায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এছাড়াও এই বাজারে পাইকারি ও খুচরা কেনাবেচা হয় তাল। আমরাইদ বাজার থেকে পাইকাররা তাল গাড়ি ভর্তি করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, কিশোরগঞ্জেও নিয়ে যায়।   

এদিকে গ্রামের পাড়া-মহল্লা থেকেও পাকা তাল সংগ্রহ করে ব্যাপারীরা হাটবাজারে আকারভেদে প্রতিটি তাল ১৫-৫০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। কিন্তু শহরে এই তাল বিক্রি হয় প্রতি পিস ৫০-৭০ টাকা। এছাড়া গৃহস্থরাও টুকরি ভরে তাল বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে আসেন।
 
এখানকার উঁচু টিলা, নিচু জমি, রাস্তা-ঘাট, পুকুরের পাড়, বাড়ির আঙিনা ও পতিত জমিতে প্রচুর তাল গাছ জন্মে থাকে। সবচেয়ে বেশি তার গাছের দেখা মেলে উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের গিয়াসপুর, আমরাইদ, বেলাশী, লোহাদী, দুলালপুর এলাকায়। এছাড়াও ঘাগটিয়া ইউনিয়নের সালদৈ,কামারগাঁওসহ বেশ কয়েকটি এলাকায়।

তবে বেড়ে উঠার জন্য তালগাছকে তেমন কোন পরিচর্যা করতে হয় না। গরু-ছাগলও গাছটির কোন ক্ষতি করতে পারে না। ফলে এখানকার এলাকাগুলোতে এ সময় প্রচুর পাকা তাল পাওয়া যায়। আর এই অঞ্চলের পাকা তাল এখন বাণিজ্যিকভাবেও শহরে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি শহরেও তালের কদর বেড়েছে। 

গৃহিণীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,পাকা তাল থেকেই সুস্বাদু রস অতি যত্নে সংগ্রহ করা হয়। দুই হাতে শক্তি দিয়ে চেপে তালের রস বের করতে হয়। পরে রস ছেকে আঁশমুক্ত করা হয়। আঁশমুক্ত রসের সঙ্গে নারকেল, চিনি বা গুড়, চালের গুঁড়া বা ময়দা মিশিয়ে সুস্বাদু তালের বড়া/ পিঠা তৈরি করা হয়। একইভাবে মালপোয়া ও পাটিসাপটাসহ বিভিন্ন রকমের পিঠা তৈরি করা হয় তালের রস থেকে। এ সময় গৃহস্থদের বাড়ি বাড়ি তালের পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যায়।

ব্যবসায়ী কাদির জানান, স্থানীয়ভাবে পাকা তাল আকারভেদে প্রতি পিচ ১৫-২০ টাকায় কিনে শহরে ৫০-৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায়। গ্রামে ঘুরে গাছে রক্ষিত তাল কিনতে পারলে লাভ আরও বেশি হয়। 
 
ব্যবসায়ীরা জানান , এখন আর আগের মতো পাকা তাল পাওয়া যায় না। কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন গরমের সময় প্রচুর পরিমাণে তাল শাস বিক্রি হওয়ায় পাকা তাল এখন পরিমাণে কম। যা আছে তা মহাজনরা গাছ ধরে কিনে নিয়ে শহরে বিক্রি করে।
 
বড়হর গ্রামের রহমান জানান, বর্তমানে আখ থেকে তৈরি গুঁড়ের দাম বেশি হওয়ায় 'তালের পিঠা' তৈরির ব্যয় বেড়ে গেছে। ফলে আমাদের মত স্বল্প আয়ের লোকদের জন্য কঠিন হয়ে পরেছে তালের পিঠা তৈরি করে খাওয়া।
 
গৃহিণীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,পাকা তাল থেকেই সুস্বাদু রস অতি যত্নে সংগ্রহ করা হয়। দুই হাতে শক্তি দিয়ে চেপে তালের রস বের করতে হয়। পরে রস ছেকে আঁশমুক্ত করা হয়। আঁশমুক্ত রসের সঙ্গে নারকেল, চিনি বা গুড়, চালের গুঁড়া বা ময়দা মিশিয়ে সুস্বাদু তালের বড়া পিঠা তৈরি করা হয়।

একইভাবে মালপোয়া ও পাটিসাপটাসহ বিভিন্ন রকমের পিঠা তৈরি করা হয় তালের রস থেকে। এ সময় গৃহস্থদের বাড়ি বাড়ি তালের পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়