শিরোনাম
◈ বসুন্ধরায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের গোপন বৈঠকের ঘটনায় মেজর সাদিকুলের স্ত্রী সুমাইয়ার স্বীকারোক্তি ◈ বাংলাদেশ সম্ভাব্য সব উপায়ে ব্যবসাবান্ধব হতে চেষ্টা করছে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ লাফার্জ হোলসিমের মাটি সংগ্রহে ফসলি জমি ও জলাশয় ধ্বংস: পরিবেশ ও কৃষি বিপর্যয়ের আশঙ্কা ◈ বাংলাদেশ ঋণের ‘২৬০ কোটি টাকা’ ফেরত দেয়নি, দাবি করল পাকিস্তান ◈ মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক ◈ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী (ভিডিও) ◈ বিএনপিকে দুর্বল দেখাতে অপপ্রচারের চেষ্টা চলছে: মির্জা ফখরুল ◈ গোপনে ১৯০ মিলিয়ন ডলারের নজরদারি সরঞ্জাম কিনেছিল আওয়ামী লীগ সরকার: টেকনোগ্লোবাল ইনস্টিটিউটের চাঞ্চল্যকর তথ্য ◈ তদন্ত সংস্থার কাছে আসিফ মাহমুদের বিস্ফোরক জবানবন্দি ◈ ট্রাম্প-মোদীর ‘বন্ধুত্ব’ নষ্টের নেপথ্যে গরুর দুধ?: দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন

প্রকাশিত : ০৭ আগস্ট, ২০২৫, ০২:২৯ দুপুর
আপডেট : ১১ আগস্ট, ২০২৫, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিলের ভারে নিঃস্ব পরিবার: হাসপাতালের বিল দিতে না পেরে সন্তান রেখে পালিয়ে যান মা-বাবা, অতপর..

বিল দিতে না পেরে চট্টগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নবজাতক রেখে পালিয়ে যান এক দম্পতি। খুঁজে না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্ত হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মা-বাবাকে খুঁজে বের করে পুলিশ। বুধবার (৬ আগস্ট) মায়ের হাতে শিশুকে তুলে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এসময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।

পুলিশ সূত্র জানায়, রাঙ্গুনিয়ার উপজেলার এক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক গত ১৮ জুলাই নগরীর ওআর নিজাম রোডে অবস্থিত এশিয়ান স্পেশালাইজড হসপিটাল লিমিটেডে স্ত্রীকে ভর্তি করান। ওইদিন রাতে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে তাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। জন্মের পর থেকে শিশুটিকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) রাখা হয়।

২২ জুলাই হাসপাতাল থেকে মাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তখন পর্যন্ত হাসপাতালে বিল আসে ৪৬ হাজার টাকা। তারা ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। এরপর শিশুটিকে হাসপাতালে রেখে তারা চলে যান। 

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ১ আগস্ট পুলিশকে লিখিতভাবে জানায়। পুলিশ রাঙ্গুনিয়ায় গিয়ে শিশুটির মাকে খুঁজে বের করে বুধবার হাসপাতালে নিয়ে আসে। বুধবার পর্যন্ত হাসপাতালে বিল আসে তিন লাখ তিন হাজার টাকা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিল মওকুফ করে দিয়ে শিশুটিকে মায়ের বুকে ফিরিয়ে দেয়।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, ‘রাঙ্গুনিয়া ও রাউজানে খোঁজ করে শিশুটির মা-বাবাকে বের করা হয়। এরপর গাড়ি ভাড়া দিয়ে চট্টগ্রামে আনা হয়েছে।’

শিশুটির মা বলেন, ‘সন্তানকে রেখে গিয়ে প্রতিদিন কেঁদেছি। টাকা জোগাড় করতে না পারায় হাসপাতালে আসতে পারিনি।’

হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাউদ্দিন আলী বলেন, ‘গরীব রোগীদের বিলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ছাড় দেওয়া হয়। শিশুটির অভিভাবকরা জানালে আগেই তাদের বিল মওকুফ করে দেওয়া হতো।’

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়