গাইবান্ধার সাঘাটা থানায় ঢুকে পুলিশের রাইফেল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা ও এসআই মহসিন আলীকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়া সেই অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাঘাটা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরের কচুরিপানার নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে থানার ভেতরে ঢুকে ওই যুবক ডিউটিতে থাকা কনস্টেবল সেরাজুল ইসলামের রাইফেল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিতে গেলে এসআই মহসিন আলীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে সে। এরপর দৌড়ে পালিয়ে থানার পাশের বিদ্যালয়ের পুকুরে ঝাঁপ দেয়।
জানা গেছে, ওই রাতে স্থানীয় একটি বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য থানায় উপস্থিত ছিল দু’টি পক্ষ। এ সময় ২৫-৩০ বছর বয়সী শার্ট-প্যান্ট পরিহিত এক যুবক থানার ভেতরে ঘোরাফেরা করছিল। হঠাৎ করে সে কনস্টেবল সেরাজুল ইসলামের রাইফেল ছিনিয়ে নিতে যায়। বাধা দিতে গেলে এসআই মহসিন আলীকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে গিয়ে সে পুকুরে ঝাঁপ দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান জানান, ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। ধারণা করা হচ্ছে, কচুরিপানার নিচে মরদেহ আটকে ছিল। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাদশা আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যুবকটি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তার পরিচয় এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে পকেটে পাওয়া গাইবান্ধা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের একটি প্রবেশপত্র থেকে জানা গেছে, তার নাম সাজু মিয়া, পিতা দুলাল মিয়া ও মাতা রিক্তা বেগম। প্রবেশপত্রের তথ্য ও ছবি মিলিয়ে পরিচয় নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে।