অমর ডি কস্তা, নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে তার প্রবেশকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে অতিরঞ্জিত ও বিভ্রান্তিকর প্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি এই ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও পরিকল্পিত অপপ্রচার বলে দাবি করেছেন।
রাকিবুল ইসলামের পিতা সর্দার রফিকুল ইসলাম—যিনি সাবেক বনপাড়া পৌর বিএনপির সদস্য সচিব, সাবেক উপজেলা যুবদল ও ছাত্রদল সভাপতি—প্রতিবাদপত্রটি স্থানীয় প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করেন।
প্রতিবাদপত্রে রাকিবুল ইসলাম উল্লেখ করেন, “২৬ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ১২ মিনিটে বনপাড়া ডিগ্রি কলেজে পরীক্ষাকেন্দ্রের গেটে উপস্থিত হই। এ সময় আমার এক ছোট ভাই জানায়, তার চাচাতো ভাই পরীক্ষার্থী এবং ভুলবশত এডমিট কার্ডটি বাড়িতে রেখে এসেছে। আমি তার হয়ে কার্ডটি পৌঁছে দিতে হলে যাই এবং ৯টা ২৪ মিনিটে তা হস্তান্তর করি। পরীক্ষা শুরুর অন্তত ৩০ মিনিট আগেই আমি পরীক্ষা হল ত্যাগ করি (৯টা ৩১ মিনিটে)। এতে কোনো শিক্ষার্থী বা পরীক্ষার পরিবেশে ব্যাঘাত ঘটেনি।”
তিনি আরও দাবি করেন, “হলে আমার প্রবেশের সময় কেউ আমার ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করে বিভ্রান্তি ছড়ায়। বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভাইরাল করা হয়। আমি সুস্থ ধারার রাজনৈতিক চর্চায় বিশ্বাসী এবং কোনো অসাংবিধানিক বা অপেশাদার কর্মকাণ্ডে জড়িত নই। আমার ও আমার পিতার রাজনৈতিক অবস্থানকে বিতর্কিত করতেই একটি স্বার্থান্বেষী মহল ঘটনাটি অতিরঞ্জন করেছে।”
প্রতিবাদপত্রে রাকিবুল ইসলাম গণমাধ্যমে প্রচারিত তথ্যকে ‘বিকৃত ও অতিরঞ্জিত’ আখ্যা দিয়ে সঠিক ও বাস্তবভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এ ঘটনার পর জেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে রাকিবুল ইসলামকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সংবাদগুলোর ভিত্তিতেই হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।