শিরোনাম
◈ ইরানের দিকে যাচ্ছে মার্কিন রণতরী ◈ জামায়াতের অবস্থানে হঠাৎ পরিবর্তন কেন? ◈ মেয়রের শপথ: ইশরাক-আসিফ বাকযুদ্ধ, এর সমাধান কি? ◈ 'আমি করতেও পারি, নাও পারি', ইরানে হামলায় যোগ দেওয়ার বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প ◈ ইসরাইল লক্ষ্য করে এবার হাইপারসনিক ছুড়েছে ইরান ◈ লন্ডন বৈঠকের পর বিএনপি-জামায়াত সম্পর্কে ফাটল: হতাশা, বিরক্তি ও রাজনীতির নতুন সমীকরণ ◈ পরিবেশের ক্ষতি করে কোনো উন্নয়ন নয়: প্রধান উপদেষ্টা ◈ দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় পারষ্পরিক অবস্থান সম্পর্কে জানার সুযোগ তৈরি হয়েছে : অধ্যাপক আলী রীয়াজ  ◈ জেলায় জেলায় ডেঙ্গুর আতঙ্ক, বাড়ছে রোগী ও মৃতের সংখ্যা ◈ গল টে‌স্টে দুই দিনে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৮৪ রান

প্রকাশিত : ১৮ জুন, ২০২৫, ১০:৪৪ রাত
আপডেট : ১৯ জুন, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভাবনাহীন শৈশব : বৃষ্টির মধ্যেই খেলছে একদল শিশু

এম আর আমিন, চট্টগ্রাম : সকাল থেকে যখন অতি ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামের রাস্তাঘাট জনশূন্য হয়ে পড়ে, দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়, আর মানুষ ঘরের কোণে সেঁধিয়ে পড়ে—অন্যদিকে তখন কিছু শিশুর কণ্ঠে বেজে উঠে খুশির সুর।

চট্টগ্রাম অক্সিজেন গোলবাগ আবাসিক এলাকার  একটি মাঠ ঘিরে দেখা যায় এমনই এক দৃশ্য—ঝুম ঝুম বৃষ্টির মধ্যেই দল বেঁধে খেলছে একদল শিশু। কেউ গর্তের পানিতে ঝাঁপ দিচ্ছে, কেউ নাচছে, আবার কেউ কাগজের নৌকা বানিয়ে ছোট্ট নালার স্রোতে ভাসিয়ে দিচ্ছে। চারপাশে কাদায় ভরা রাস্তা, গা ভেজা জামাকাপড়, কাঁপুনি জাগানো বাতাস—তবুও থেমে নেই তাদের উচ্ছ্বাস।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, এমন বৃষ্টি হলে সাধারনত শিশুরা ঘরে থাকে। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম। ছোট ছোট এই শিশুরা যেন বর্ষাকে ভয় না পেয়ে আপন করে নিয়েছে।

এক অভিভাবক বলেন, "ওদের দেখে ভয় পাই, না জানি অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিন্তু সেই সাথে একটা শান্তি কাজ করে—এই যে আনন্দ, এটা এখন আর কোথাও দেখা যায় না।"

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শিশুরা প্রকৃতির সঙ্গে খেলে বড় হয় বলেই তাদের মাঝে একধরনের মানসিক স্থিতি গড়ে ওঠে। যদিও স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকা প্রয়োজন, তবে এমন মুহূর্তগুলোও তাদের শৈশবের অমূল্য স্মৃতি হয়ে থাকবে।

এক শিশুর কণ্ঠে শোনা গেল, “বৃষ্টি পড়লেই আমরা খেলতে বের হই। এটা আমাদের জন্য ঈদের মতো।”

অতি ভারী বৃষ্টির ভেতরেও যখন চারপাশে থমথমে পরিবেশ, তখন সেই পরিবেশ ভেদ করে কিছু শিশুর হাসি যেন মনে করিয়ে দেয়—আনন্দ খুঁজে নেওয়া একমাত্র তারাই জানে, যারা এখনও হারিয়ে যায়নি জীবনের সরলতায়।

এদিকে বুধবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে ৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে, যা অতি ভারী বৃষ্টির মধ্যে পড়ে। এই ভারি বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে শহরজুড়ে যানজট ও চলাচলে বড় ধরনের ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

১৮( জুন) বৃষ্টিতে নগরের আগ্রাবাদ, কাতালগঞ্জ, জিইসি মোড়, কাপাসগোলা, হালিশহরসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকায় সড়ক ও রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ ও অফিসগামীদের চলাচল ব্যাহত হয়েছে। নগরের চৌমুহনী, বাকলিয়া, রাহাত্তারপুল ও জিইসি মোড়ের মতো এলাকায় পানির জোগান নষ্ট হওয়ায় অফিসগামী ও যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে মোট ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ পরিস্থিতি আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়