জমে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপুর গরুর হাট
অনিরুদ্ধ রেজা, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা’কে কেন্দ্র করে জেলা উপজেলা গুলোতে বসেছে স্থায়ী ও অস্থায়ী ভাবে গবাদি পশুর হাট। গরু -ছাগল বেচাকেনার ধুম পড়েছে হাটগুলোতে। গত কয়েক বছর ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশে খামারীরা গরুর ন্যায্য মুল্য থেকে বঞ্চিত হলেও এবারে অনেকটা আশার আলো ফিরে পেয়েছে গরুর খামারীরা। দিন যতই বাড়ছে গরুর দাম ও চাহিদা বেড়ে চলছে। ফলে গরু বিক্রেতারা ভালো লাভবান হবেন বলে জানিয়েছেন যাত্রাপুর হাট ইজারাদার সূত্র ও ক্রেতা-বিক্রেতাগণ।
সরেজমিনে দেখা যায়, উত্তর বঙ্গের নামকরা ঐতিহ্যবাহী গরুর হাট যাত্রাপুরে সপ্তাহে দুদিন বসে গরুর হাট। নদ-নদী বিধৌত ও চরাঞ্চলের পাশে এ হাটটির অবস্থান হওয়ায় দেশি গরুর সমাগম বেশি এ হাটে। এছাড়া খামারিদের পালন করা ফ্রিজিয়ান,অস্ট্রলিয়ান গরুও বিক্রি হয় এ হাটে। ওজন ও বয়স ভেদে গরু আমদানি রপ্তানিও বেশ ভালো।
হাটে আসা গরু বিক্রেতা মোঃ আসলাম হোসেন তালুকদার জানান,যাত্রাপুর হাট গরু ক্রয় বিক্রয়ের জন্য প্রসিদ্ধ হাট। আমি প্রায় ৪ মন ওজনের দেশি গরু হাটে এনেছি।দাম চাচ্ছি ৬৫ হাজার টাকা। ক্রেতারা এখন পর্যন্ত ৬০ ষাট হাজার দাম বলেছে।আর দু এক হাজার বেশি পেলে গরুটি বিক্রি করবো। হাটে ক্রেতার সমাগম ভালো আশা করছি লাভজনক দামে গরুটি বিক্রি করতে পারবো ইনসো আল্লাহ।
গরুর পাইকার মোঃ ইমরান সর্দার বলেন,আমি এ পর্যন্ত ৮ টি গরু কিনেছি। এগুলো বয়স রঙ ভেদে ৬৫ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত। আশা করছি লোকসান হবে না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ রহিম উদ্দিন হায়দার রিপন বলেন,হাটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই ভালো। এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে নাই। পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনী সব সময় তদারকি চালিয়ে যাচ্ছে।
যাত্রাপুর হাট ইজারাদার প্রতিনিধি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ুব আলী বলেন,যাত্রাপুর হাটে সরকারি বিধি অনুযায়ী বৈধ কাগজপত্র নিয়ে রশিদের মাধ্যমে খাজনা( হাসিল) আদায় হচ্ছে। গরু প্রতি ৫ শত টাকা ও ছাগল প্রতি ২৫০ টাকা নেয়া হচ্ছে। হাটে যাতে কোন প্রকার অনিয়ম দূর্নীতি না হয় সে বিষয়ে খুবই গুরুত্বের সাথে কাজ করছি। নিয়মবহির্ভূত কোন কাজ পরিচালিত হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা বলেন,পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী ভাবে গরুর হাট বসেছে। অপ্রীতিকর ঘটনা, জাল নোট সনাক্ত,চুরি কিংবা অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের কোন ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।