মুরাদনগরে পূর্বশত্রুতার জেরে ৯ টি ফলগাছ কর্তন
এন এ মুরাদ, মুরাদনগর : মুরাদনগরে প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে প্রতিবেশীর ৯ টি ফলজ গাছ কর্তন করেন বাইড়া গ্রামের হাজী আবুল হাশেমের ছেলে হারুন মিয়া (৫০)। দিন-দুপুরে দা দিয়ে কুপিয়ে ফলজ গাছগুলো বিনষ্ট করেন তিনি। তাতে বাঁধা প্রদান করিলে গাছের মালিককে দা উঁচিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য দৌড়ানি দেয় বলে জানাগেছে।
খবর পেয়ে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশের এ-এসআই খাইরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে পরিস্হিতি শান্ত করেন। এসময় আর গাছ কাটবেনা বলে কথা দেন গাছ বিদ্বেষী হারুন মিয়া।
জানা যায়, মুরাদনগর উপজেলার বাইড়া গ্রামের মোহাম্মদ হোসেনের আপন চাচাতো ভাই হারুন মিয়া জমি নিয়ে পূর্ববিরুধের জেরে তাঁদের বাড়ির পাশে লাগানো ৪ টি নারিকেল গাছ, ৪ টি কাঠাল ও একটি বেলগাছ কুপিয়ে কেটে ফেলেন। গাছ কাটায় বাঁধা ও মোবাইলে স্হির চিত্র ধারন করায় গাছের মালিককে হত্যার উদ্দেশ্য দা দিয়ে দৌড়ানি দেয়। মোহাম্মদ হোসেন ও তাঁর পরিবার প্রাণভয়ে ঘরের দরজা আটকিয়ে পুলিশ কল করেন। তখন বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। এসময় আর গাছ কাটবে না বলে পুলিশকে প্রতিশ্রুতি দেন হারুন মিয়া ও তাঁর ভাই জাহাঙ্গীর।
এদিকে অভিযুক্ত হারুন মিয়া ও তাঁর ভাই জাহাঙ্গীর ২০২১ সালে গাছ কাটবে না মর্মে বাঙ্গরা বাজার থানায় ৩শ টাকার স্টাম্পে অঙ্গীকার দিয়ে আসেন। তাঁরা সেই অঙ্গীকার ভঙ্গ করে আবারও গাছ কর্তন করেন। এভাবে প্রতিবেশীর গাছ কেটে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছেন হারুন মিয়া।
স্হানীয়রা জানায়, হারুন মিয়া একসময় বাইড়া স্কুল এন্ড কলেজে চাকুরী করত। সে চাকুরী ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে অবসর সময় কাটান। তাঁদের ৭ ভাই। পৈতৃক সূত্রে অঢেল ধনসম্পদ ও জনবল বেশি থাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর ওপর প্রভাব বিস্তার করেন। যখন তখন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হয়। তাদের না পেলে গাছের উপর চালায় নির্মম অত্যাচার।
অভিযুক্ত হারুন মিয়ার ছোট ভাই জামাল হোসেন বলেন , বড় ভাই হারুন মিয়া এক রোখা মানুষ, তাঁর মাথায় কিছু সমস্যা আছে। তবে সে গাছগুলো কাটা ঠিক করেনি। বাড়ির পাশেই একটা কবরস্থান করা হবে। কবরস্থানের রাস্তার উদ্দেশ্য হারুন ভাই গাছগুলো কাটছেন। মাথায় সমস্যা তাই অন্যজনের গাছ কাটেন, নীজের গাছ কাটেননা কেন? এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি জামাল মিয়া।
এ ঘটনায় বাঙ্গরা বাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন গাছের মালিক মোহাম্মদ হোসেন। তিনি বলেন, আমার চাচাতো ভাইয়েরা ৭ জন। তাঁদের ধনসম্পদও বেশি। তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে তাঁরা আমাদের দা কুড়াল নিয়ে মারতে আসেন। গত শনিবার আমার ৯ টি ফল গাছ কেটে ফেলেন। বাধা দিতে গেলে দা দিয়ে কুপাতে আসেন। তাঁরা কাউকে মানেনা। মেম্বার চেয়ারম্যান একাধিকবার এদের নিয়ে বসছে তাঁরা চলে যাওয়ার পর আরো বেশি ক্ষিপ্র হয়ে উঠে।
এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।