শিরোনাম
◈ পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ না দেওয়ায় বিশৃঙ্খলা করছেন নুর, অভিযোগ ডিএনসিসির ◈ উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজকে পদত্যাগ করতে হবে: ইশরাক (ভিডিও) ◈ নতুন পররাষ্ট্র সচিব হচ্ছেন আসাদ আলম ◈ ভারত পুশ-ইনের ঘটনায় চিঠির জবাব দেয়নি: তৌহিদ হোসেন ◈ যে কারণে এই ৩৩ দেশে সন্ত্রাসবিরোধী প্রচার চালাবে ভারত ◈ বিএনপি-এনসিপি বাকযুদ্ধ, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব কি বাড়ছে? ◈ অটোপাসের দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের ওপর হামলার অভিযোগ ◈ এনবিআর বিলুপ্তির সিদ্ধান্তে তীব্র প্রতিক্রিয়া; চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি ◈ টিসিবি‘র তেল, ডাল ও চিনির নতুন দাম নির্ধারণ ◈ ১ শতাংশ হিসাবধারীর দখলে দেশের ৪২ শতাংশ আমানত : পিআরআই

প্রকাশিত : ২১ মে, ২০২৫, ১০:৪৯ দুপুর
আপডেট : ২১ মে, ২০২৫, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রধান উপদেষ্টার নামে উপহারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৫ গ্রাম পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে প্রতারণা!

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে চাল, ডাল ও নগদ টাকা দেওয়ার কথা বলে বেশ কয়েকজন গ্রাম পুলিশ সদস্যর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অচেনা ফোন নাম্বার থেকে ওই উপহারের জন্য রেজিস্ট্রেশনের কথা বলে তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২০ মে) চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে এসে তারা প্রতরণার বিষয়টি বুঝতে পারেন। ওই দিন প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে দেওয়া কথিত চাল-ডালসহ খাদ্য সামগ্রী ও নগদ টাকা নেওয়ার জন্য তারা ইউএনও এর কার্যালয়ে আসেন।

ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্যরা জানান, গত কয়েকদিন আগে অচেনা কয়েকটি ফোন নাম্বার থেকে তাদের কাছে ফোন আসে। এসময় তাদের জানানো হয় মাত্র দুই হাজার টাকায় রেজিস্ট্রেশনের বিনিময়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে চাল, ডাল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ খাদ্য সামগ্রী এবং নগদ টাকা দেওয়া হবে। বলা হয়, ২ হাজার টাকা দিয়েই রেজিস্ট্রেশন করলে তারা নগদ ৩ হাজার টাকা করে পাবেন; সঙ্গে থাকবে মূল্যবান সামগ্রী। নির্ধারিত সময়ে এসব উপহার সামগ্রী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে গ্রহণ করতে হবে। প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে প্রায় ১৫ জন গ্রাম পুলিশ সদস্য সেই নাম্বারে টাকা পাঠান।

সবশেষ মঙ্গলবার ইউএনও-এর কার্যালয়ে এসে তারা প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন।

গ্রাম পুলিশের সদস্য আবু ইউছুফের সাংবাদিকদের বলেন, আমি সরল মনে বিশ্বাস করে ওই নাম্বারে ২ হাজার টাকা পাঠিয়েছি। একইভাবে আমাদের প্রায় ১৫ জন গ্রাম পুলিশ সদস্য টাকা পাঠিয়েছে। পরে বুঝতে পারলাম, আমরা প্রতারণার শিকার হয়েছি।

গ্রাম পুলিশ সদস্য হারাধন চক্রবর্তি বলেন, একই কথা বলে আমাকেও ফোন দিয়েছে, কিন্তু আমি কোন টাকা পাঠাইনি। পরে জানতে পেরেছি, অনেকে টাকা পাঠিয়েছে। এখন দেখি ওই ফোন নাম্বারগুলো বন্ধ।

জেলা গ্রাম পুলিশ সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিত্ত নন্দন সূত্রধর বলেন, আমাদের প্রায় ১৫ জন সদস্য প্রতারণার শিকার হয়েছেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জানিয়েছি।

হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। এটি অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। আজকাল বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে প্রতারক চক্রের সদস্যরা মানুষের কাছ থেকে টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নিচ্ছে।

সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়ে ইউএনও আল জায়েদ হোসেন বলেন, কেউ এমন ফোন বা ম্যাসেজ পেলে অবশ্যই এর সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, থানা কিংবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করবেন। এর আগে সব ধরনের লেনদেন থেকে বিরত থাকতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়