অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দুই উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার পদত্যাগ দাবি করেছেন বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতা ইশরাক হোসেন। তার দাবি, চক্রান্ত করে তাদের অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।
বুধবার রাজধানীর কাকরাইলে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই দাবি তোলেন।ইশরাক বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন সার্বভৌম প্রতিষ্ঠান, নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত দিবে সেটাই মানতে হবে।
এ দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের সামনে সমর্থক আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা যায় ইশরাক হোসেনকে। সেখানে থাকা সমর্থকরা তাকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হোন। বিভিন্ন স্লোগানে মাতিয়ে তোলেন পুরো এলাকা।
সমাবেশে ইশরাক বলেন, একটি নতুন দল, যাদের নিয়ে আমি আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু দলগঠন করার পর সরকারের মধ্যে এদের অংশ রয়ে গেল। কাজেই নিরপেক্ষ সরকার আমরা পাইনি। সরকারের মধ্যে অনেকেই আছে যারা বিএনপি যাতে নির্বাচনে ভালো করতে না পারে সে চক্রান্ত করছে।
সরকারের ভেতর থেকে বিচার বিভাগের উপর হস্তক্ষেপ করা হয়েছে অভিযোগ তুলে ইশরাক বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে। তাহলে কী আশা করা যায় যে এই সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে?
তিনি আরও বলেন, আমরা কি আরেকটা স্বৈরাচারী সরকার তৈরি হতে দিতে পারি? আমরা হাসিনাকে যেভাবে বিদায় করেছি সেভাবে সকল স্বৈরাচার সরকারকে বিদায় করতে পারবো।
মেয়র হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মেয়র বুঝি না, এই সরকার নিরপেক্ষ নয় তা সবার সামনে উন্মোচিত। আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও মাহফুজ আলমকে পদত্যাগ করতে হবে। তারা পদত্যাগ করে নিজেদের রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করুক, কিন্তু সরকারে থেকে এসব করা যাবে না।
তিনি বলেন, পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ নাই। যতদিন দাবি মানা হবে না ততদিন আমরা এখান থেকে যাব না।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ইশরাক তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসে জানান, ‘আন্দোলনকারী জনতার প্রতি সর্বাত্মক সংহতি জানাতে এবং তাদের সঙ্গে যতদিন প্রয়োজন রাজপথে অবস্থান করার জন্য অল্প সময়ের মধ্যেই হাজির হব ইনশাআল্লাহ।’ এ ছাড়া তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘নির্দেশ একটাই, যতক্ষণ দরকার রাজপথ ছেড়ে উঠে আসা যাবে না।’
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস প্রায় পৌনে দুই লাখ ভোটে জয়ী হলেও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল গত ২৭ মার্চ সেই ফলাফল বাতিল করে বিএনপিপন্থি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন।
এরপর ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে তাকে ঢাকা দক্ষিণের নতুন মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেয়। এরপর থেকে ইশরাকের সমর্থকরা প্রতিদিন নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন। উৎস: যুগান্তর ও নিউজ২৪