জাহাঙ্গীর লিটন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের গাছে ধাক্কা লেগে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রফিকুল ইসলাম রফিক (৩৮) ও ব্যবসায়ী ওসমান গণি (৫০) নিহত হয়েছেন। তারা অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে উপজেলার করইতলা বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় রিজভি ও আকাশ নামে আরও ২ জন আহত হয়।
নিহত রফিক ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ও কমলনগর উপজেলার চরফলকন গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে। অপর নিহত ওসমান একই উপজেলার কাদিরপন্ডিতের হাট এলাকার হাজী নোয়াব আলীর ছেলে ও পেশায় মুরগি ব্যবসায়ী। আহত রিজভি চরফলকন গ্রামের ওমর ফারুকের ছেলে ও আকাশ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রফিক বাড়ির উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে বাসযোগে এসে লক্ষ্মীপুরের ঝুমুর এলাকায় নামেন। সেখান থেকে তিনি অটোরিকশাযোগে তিনিসহ অন্য যাত্রীরা কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট রওয়ানা দেয়। পথিমধ্যে ঘটনাস্থল পৌঁছলে অটোরিকশাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। আহত অবস্থায় রফিকসহ ৩ জনকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতাল নিলে রফিককে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অপর নিহত ওসমানও ঢাকা থেকে এসেছেন। তিনি একই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানেই তিনি মারা যান।
ওসমানের মৃত্যুর বিষয়টি তার মামাতো ভাই মোস্তাফিজুর রহমান টিপু নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ওসমান ঢাকায় হার্নিয়া অফারেশন করেছে। দুর্ঘটনায় তিনি মারা গেছে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মহসিন কবীর স্বপন বলেন, রফিক ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা। তিনি বাড়ি যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। হাসপাতালের গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অরুপ পাল বলেন, দুর্ঘটনায় রফিক নামে একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতাল আনা হয়েছে। হাসপাতাল আনার আগেই তিনি মারা গেছেন।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের গাছের সঙ্গে গিয়ে ধাক্কা লাগে। এতে ২ জন মারা গেছেন। এরমধ্যে একজনের মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। দুর্ঘটনা কবলিত অটোরিকশাটি জব্দ রয়েছে। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।