শিরোনাম
◈ বিনিয়োগবান্ধব বাজেট আসছে, অনলাইনে রিটার্ন বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব ◈ রৌমারীতে পাহাড়ি ঢলে সাঁকো ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, ভোগান্তিতে ৩০ হাজার মানুষ ◈ পাকিস্তানকে নরক বলে বিতর্কের ঝড় তুললেন জাভেদ আখতার ◈ অভিনয়ের জন্য হয়রানি? নুসরাত ফারিয়ার গ্রেফতার নিয়ে প্রশ্ন ◈ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি-প্রোভিসি নিয়োগে সার্চ কমিটি ◈ ভারতের নিষেধাজ্ঞায়  প্রথম দিনেই রফতানি কমেছে ৬০ শতাংস ◈ আরব আমিরাতের বিরু‌দ্ধে আ‌রো এক‌টি ম্যাচ বাড়‌লো ◈ ১০ হাজারেরও বেশি হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ◈ আওয়ামী লীগের ডিএনএতেই গণতন্ত্র নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ ◈ সর্বনিম্ন এডিপি বাস্তবায়নে রেকর্ড গড়ল ২০২৪-২৫ অর্থবছর

প্রকাশিত : ১৯ মে, ২০২৫, ০৭:৪৯ বিকাল
আপডেট : ১৯ মে, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতের নিষেধাজ্ঞায়  প্রথম দিনেই রফতানি কমেছে ৬০ শতাংস

আইরিন  হক, বেনাপোল (যশোর) : বাংলাদেশি গার্মেন্টমসসহ ৬ ধরনের পণ্য আমদানিতে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় প্রথম দিনেই বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দুইদেশের মধ্যেরফতানি কমে এসেছে ৫০ শতাংশ। গতকাল সবশেষ ভারতে রফতানির পরিমান ছিল ১০৮ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য। তবে নিষেধাজ্ঞার আগের দিন রফতানি হয়েছিল ২২৮ ট্রাক পণ্য। এদিকে আটকে পড়া গার্মেন্টসের কোন ট্রাক গতকাল ঢুকতে পারেনি ভারতে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা প্রায় শতাধিক ট্রাক পণ্য রফতানিতে অনিশ্চয়তায় শেষ পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর থেকে ফিরতে শুরু করেছে। এদিকে গত এক মাসে  পর পর রফতানিতে দুইবার  নিষেধাজ্ঞা আসায় অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েছে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা। 

বানিজ্যিক সংশিষ্টরা জানান, প্রতিবছর ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ১৬ মার্কিন বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়ে থাকে। এর মধ্যে প্রায়  ১৪ মার্কিন বিলিয়ন ডলারের পণ্য ভারত থেকে আমদানি হয় আর মাত্র ২ মার্কিন বিলিয়র ডলারের পন্য রফতানি হয় ভারতে। দেশে ২৪ টি স্থলবন্দরের মধ্যে ভারতের সাথে বানিজ্য হয় ১৬ টি বন্দরের সাথে। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা  সহজ হওয়ায় সব চেয়ে বেশি বানিজ্য হয় ভারতের সাথে।  স্বাভাবিক সময়ে বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২০০ থেকে ২৫০ ট্রাক পণ্য রফতানি হয়। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক থাকে গার্মেন্টস শিল্পের তৈরী পোশাক।  ছাত্র জনতা আন্দোলনে গত ০৫ আগষ্ট দেশ ছেড়ে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে যায় শেখ হাসিনা।

এর পর থেকে দেশে রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা ও ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যে নানান প্রতিবন্ধকতা দেখা যায়। গত ০৮ এপ্রিল ভারতের  নিষেধাজ্ঞায় সড়ক পথে  বন্ধ হয় ভারতের বিমান বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোন দেশে গার্মেন্টস রফতানি। এর এক মাস যেতে না যেতে  ১৭ মে একটি প্রজ্ঞাপনে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ  থেকে গার্মেন্টস শিল্পের তৈরী পোশাক,সুতা,প্লাস্টিক, কাটের তৈরী পণ্য এবং ফল ও ফল জাতীয় পণ্য আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত।  তবে সড়ক পথে রফতানি সেবা বন্ধ করলেও কলকাতা ও নব সেবা সমুদ্র বন্দর দিয়ে রফতানির থাকলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা কঠিন ও ব্যয় বহুল হওয়ায় রফতানিতে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ কম। নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি পূনরায় বিবেচনায় নিয়ে বানিজ্য সহজ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে সরকারের সহযোগীতা কামনা করেছেন।

রফতানি পণ্যবাহী ট্রাক  চালক কামরুল জানান, আটকে পড়া  রফতানি পণ্য নিয়ে তিনি দুই দিন ধরে বিপাকে পড়েছেন। তবে আবার অনেকেই ট্রাক নিয়ে ফিরে যাচ্ছে ঢাকায়।

বেনাপোল আমদানি,রফতানি সমিতির সহসভাপতি  আমিনুল হক জানান, ১৭ মে ভারত সরকারের বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের অজয় ভদ্র সাক্ষরিত এক চিঠিতে বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস,তুলা, সুতির বর্জ্য, কাট ও প্লাস্টিক ও কাটের তৈরী আসবাবপত্র, ফল জাতীয় পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে  বানিজ্য সহজ করার দাবি জানাচ্ছি। 

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম জানান,হঠাৎ হঠাৎ নিষেধাজ্ঞায় সিদ্ধান্ত দুই দেশের মধ্য বানিজ্য  সর্ম্পক্য দূর্বল হচ্ছে। এতে দুই দেশের ব্যবসায়ীই ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়