সনত চক্র বর্ত্তী, ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন বিলবোর্ড অপসারণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়।
আজ শনিবার (১৭ মে) বেলা ১২টার দিকে এ বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে ফরিদপুর জেলা যুবদল। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির ছাত্র সংগঠন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোরনের সদস্যরা এ কাজ করেছে বলে অভিযোগ করেছে যুবদল।
তবে এ অভিযোগ স্বীকার করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফরিদপুরের সদস্য সচিব বলেছেন, এ ব্যানার প্লাকার্ড অপসারণের জন্য বৈষম্য বিরোধী প্লাটফর্মের কোন কর্মসূচি না। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পদে থেকে নিজ উদ্যোগে দুইটা মেয়ে ব্যানার ফেস্টুন অপসারণে গেছে বিধায় আমাদের ওপর দোষ পড়েছে।
বিক্ষোভ মিছিলটি ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামেনে থেকে শুরু হয়ে মুজিব সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলার প্রশাসকের কার্যালয় গিয়ে। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবাদের কারণ তুলে ধরে জেরা যুবদলের নেতৃবৃন্দ।
বিক্ষোভ শেষে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্ত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জেলা যুবদলের রাজিব হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় অংশ নেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, সহ-সভাপতি কাউসার সরদার, জব্বার জমাদার ও মো. আরমান হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীমুল হক তালুকদার ও জাহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুর রহমান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কাউসার সর্দার, দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান নাসির প্রমুখ।
এ ব্যাপারে জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন বলেন, গত ১৭ বছর ধরে সংগঠনটি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করেছে যুবদল। দেশে গণতন্ত্রের জন্য জনগণের ভাতের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করছি। কিন্তু গত এক সপ্তাহ যাবত লক্ষ্য করা যাচ্ছে ফরিদপুরে বিভিন্ন স্থানে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ফরিদপুরে বিএনপি নেতাদের ব্যানার বিলবোর্ড ফেস্টুন উচ্ছেদ করা হচ্ছে । আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
বক্তারা এ ঘটনার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) দায়ি করে বলেন, একটি রাজনৈতিক দল কখনোই অপর একটি রাজনৈতিক দলের ব্যানার পোস্টার বিলবোর্ড উচ্ছেদ করার অধিকার রাখে না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকলে কি ভাবে এ দাত বাঙ্গা জবাব দিতে হয় তা জাতীয়তাবাদী যুবদল জানে।
বিক্ষোভ মিছিলের পরে জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লার সাথে দেখা করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ব্যাপারে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। আগামীতে যাতে এ জাতীয় ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সে ব্যাপারে ভুমিকা রাখবেন তিনি বলে জানিয়েছেন রাজিব হোসেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ফরিদপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড় থেকে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের মেড় পযন্ত সড়কের ডিভাইডারসত সড়কের দুই পাশে রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন চিকিৎসক, কোচিং সেন্টারসহ নানা প্রতিষ্ঠানের প্লাকার্ড ফেস্টুন অপসারণ করা হয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফরিদপুরের সদস্য সচিব সোহেল রানা জানান, শহর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য এটা করা হয়েছে। এটা কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কোন কর্মসূচি ছিলো না। এ ঘটনার জন্য আমরা দু:খ প্রকাশ করেছি, সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
পৌরসভার দায়িত্ব আপনারা পালন করতে গেলেন কেন? এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এ ব্যানার প্লাকার্ড অপসারণের জন্য বৈষম্য বিরোধী প্লাটফর্মের কোন কর্মসূচি না। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পদে থেকে নিজ উদ্যোগে দুইটা মেয়ে ব্যানার ফেস্টুন অপসারণে গেছে বিধায় আমরা দোষে পড়েছি। এটা মূলত পৌরসভার বা সিটি কর্পোরেশনের কাজ। আমাদের কাজ নয়। এটা করা অপরাধ হয়েছে।