পুলিশ দেখেই দৌড় দিয়েছিলেন ইউপি সদস্য আবু বক্কর ছিদ্দিক ওরফে বাবুল (৪২)। গ্রেপ্তার এড়াতে সামনে পুকুর দেখে সেখানেই ঝাঁপ দেন তিনি। এরপর পুকুরে থাকা অবস্থায় পুলিশকে হাতজোড় করে বলেন, ‘দুই দিন আগে আমার মা মারা গেছে, কাল মেজবান আছে, আমাকে এখন ধরেন না ভাই।’ কিন্তু পুলিশ তার কথা শোনেনি। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুকুর থেকে উঠিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেওয়া হয়।
আজ সোমবার দুপুরে কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের তেতৈয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযানে অংশ নেওয়া কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া আবু বক্কর সিদ্দিক বাবুল খুরুশকুল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং স্থানীয় মৃত আমির হামজার ছেলে। তিনি নারী ও শিশু নির্যাতনের একটি মামলায় দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন।’
স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জানা গেছে, গ্রেপ্তার ইউপি সদস্য বাবুলর মা ৮ মে মারা যান। মঙ্গলবার তার মায়ের কুলখানি হওয়ার কথা রয়েছে। তাই পুলিশকে এই মুহূর্তে গ্রেপ্তার না করতে তিনি অনুরোধ করেছিলেন।
জানা গেছে, আজ দুপুরে পুলিশ আসার খবর পেয়ে বাবুল একটি পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি সফল হননি। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, পুকুরে থাকা অবস্থায় ইউপি সদস্য আবু বক্কর ছিদ্দিক পুলিশের উদ্দেশে বলেন, ‘আগামীকাল (মঙ্গলবার) আমার মায়ের ফাতেহা (কুলখানি)। আমাকে গ্রেপ্তার না করে ছেড়ে দেন। আমার মা মারা গেছেন।’ এ সময় পুলিশের কাছে বারবার একদিন সময় চান ইউপি সদস্য। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার হতে হয়।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো. ইলিয়াস খান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মিছিলে হামলা ও ভাঙচুরের একটি মামলায় বাবুল আসামি ছিলেন। বিকেলে পুলিশ কাওয়ার পাড়ায় অভিযানে যায়। পুলিশকে দেখে ইউপি সদস্য দৌড় দেন। একপর্যায়ে তিনি একটি পুকুরে ঝাঁপ দেন।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারের পর তাকে থানায় আনা হয়। তিনি থানা-পুলিশের হেফাজতে আছেন। আগামীকাল সকালে তাকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হবে। উৎস: সমকাল।