শিরোনাম
◈ দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয় আটক ◈ নির্বাচিত সরকার অবশ্যই স্বৈরাচারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে: তারেক রহমান ◈ লন্ডনে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাদের! (ভিডিও) ◈ অনুমোদনহীন হজ পালনে বিরত থাকার আহ্বান ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ◈ চমচমের পর এবার টাঙ্গাইলের ‘জামুর্কীর সন্দেশ’ পেলো জিআই স্বীকৃতি ◈ নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতায় থাকবেন মালির অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট! ◈ ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক টানাপোড়েনে পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা, বিপাকে দুই দেশের বাণিজ্য ◈ আগামী সাত মাস বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ: চট্টগ্রাম বন্দর পরিকল্পনায় বড় সম্ভাবনার ইঙ্গিত প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের ◈ কী ‘উদ্দেশ্যে’ গাবতলীর হাট ইজারা বাতিল? ◈ সুনামগঞ্জে ৯০টি ভারতীয় গরুর চালান আটক 

প্রকাশিত : ১৭ জুলাই, ২০২৪, ০৭:৩৬ বিকাল
আপডেট : ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় চার মামলা, ৭ হাজার আসামি 

এম আর আমিন, চট্টগ্রাম: [২] চট্টগ্রামে মঙ্গলবার কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও পুলিশের। এ আন্দোলনের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় এ পর্যন্ত চারটি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় সাত হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। সবাইকে অজ্ঞাত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

[৩] বুধবার (১৭ জুলাই) পাঁচলাইশ থানায় তিনটি  এবং খুলশী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

[৪] এদিকে সংঘর্ষের পর নগরজুড়ে অভিযান চলিয়ে ছাত্র ইউনিয়নের দুই নেতাসহ ৮৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

[৫] পুলিশ জানিয়েছে, বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

[৬] পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকালে মুরাদপুর এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি প্রায় সাত হাজার। এই তিন মামলার মধ্যে পুলিশ করেছে দুটি। অন্যটি আহত একজনের মা করেছেন। পুলিশের দুই মামলার বাদী পাঁচলাইশ থানার এসআই দীপক দেওয়ান।

[৭] তিনি বলেন, তিন জন নিহতের ঘটনায় করা মামলায় ছয় হাজার থেকে সাড়ে ছয় হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইমন ধর নামে আহত এক ব্যক্তির মা সুমি ধর বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

[৮] উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে নিহত তিনজন হলেন- মো. ফারুক (৩২), মো. ওয়াসিম আকরাম (২২) ও ফয়সাল আহমেদ শান্ত (২১)। আহতদের মধ্যে ৭১ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

[৯] চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক নুরুল আলম বলেন, মর্গ থেকে রাত তিনটার দিকে তিনজনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ পাহারায় তারা গ্রামের বাড়িতে মরদেহ নিয়ে গেছে।

[১০] চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাকিব হাসান জানিয়েছেন, নিহত তিনজনের পরিবারকে ১ লাখ টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়