পার্সটুডে - ইহুদিবাদী ইসরাইল দ্রুজদের সমর্থনের অজুহাতে বেশ কিছুদিন ধরে সিরিয়ায় অভ্যন্তরীণ কোন্দল তৈরির চেষ্টা করছে।
ইরানি সম্প্রচার সংস্থার বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, সিরিয়ার দামেস্কের উপকণ্ঠে জারামানা ও সাহনায়া এলাকায় ইসরাইলের হামলা এবং সাম্প্রতিক সংঘর্ষ, যার ফলে বেশ কিছু লোক হতাহত হয়েছে, তা প্রমাণ করে যে ইসরাইলি দখলদাররা দ্রুজদের সমর্থনের অজুহাতে সিরিয়ায় অভ্যন্তরীণ কোন্দল তৈরির চেষ্টা করছে।
সিরিয়ার উপর সাম্প্রতিক আক্রমণকে ন্যায্যতা দিতে, ইসরাইল দাবি করেছে: ইসরাইলি সেনাবাহিনী একটি চরমপন্থী গোষ্ঠীকে আক্রমণ করেছে যারা সাহনায়ার দ্রুজদের উপর হামলার পরিকল্পনা করছিল।
মনে হচ্ছে এই পদক্ষেপে দখলদার ইসরাইলের লক্ষ্য হলো সিরিয়ার দ্রুজ এবং জনসংখ্যার অন্যান্য অংশের মধ্যে বিভেদ তৈরি করা যাতে গৃহযুদ্ধ এবং দেশটির ভাঙনের ভিত্তি তৈরি হয়। বিশেষ করে যেহেতু, ইহুদিবাদী ইসরাইলের কিছু সংখ্যক দ্রুজ সিরিয়ার দ্রুজের প্রতি সমর্থন প্রকাশের জন্য বিক্ষোভ করায় বিষয়টি গুরুতর।
ইসরাইলে দ্রুজ উপজাতির আধ্যাত্মিক নেতা "মোফাক তারিফ"ও বলেছেন: ইহুদিবাদী ইসরাইলকে সিরিয়ায় দ্রুজদের গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।
তবে লেবাননে দ্রুজের প্রধান ওয়ালিদ জুম্বলাত সিরিয়ার দ্রুজ উপজাতিকে সমর্থন করার অজুহাতে ইহুদিবাদী ইসরাইলের হস্তক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বলেন: "ইসরাইল সিরিয়ায় বিদ্রোহ সৃষ্টির জন্য দ্রুজদের উস্কানি দিতে চাইছে।"
দামেস্কের দক্ষিণে জারামানা এবং আশরাফিয়া সাহনায়ার দ্রুজ অধ্যুষিত এলাকাগুলো সাম্প্রতিক দিনগুলিতে আবারও তীব্র লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
পূর্ববর্তী সিরিয়ার সরকারের পতনের পর থেকে, ইহুদিবাদী ইসরাইল দেশটির সামরিক ও প্রতিরক্ষা অবকাঠামোর উপর ব্যাপক আক্রমণের মাধ্যমে সিরিয়ার প্রায় প্রতিটি প্রতিরোধমূলক উপাদান ধ্বংস করে দিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসরাইলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো সিরিয়ার এলাকা দখল করা এবং সিরিয়াকে দুর্বল করে শেষ পর্যন্ত বিভক্ত করা।