শিরোনাম
◈ পুলিশ সদস্যকে প্রেমের জেরে হত্যা, স্ত্রীসহ গ্রেফতার ৬ ◈ পাক সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারি ভারতকে, ‘আক্রান্ত হলে কঠিন জবাব’ ◈ বিকৃত যৌ'না'চারের নামে নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি, দুই নারী গ্রেফতার (ভিডিও) ◈ ভারতের হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ১০০০ মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা ◈ ৫ মে লন্ডন থেকে দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ আগামীকাল ◈ ‘নারীর দিকে তাকানোর ঘটনা নিয়ে’ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, ইউএনও-ওসিসহ আহত ২০ ◈ এআই দক্ষতায় পিছিয়ে বাংলাদেশ, সুযোগকে কাজে লাগাতে পারছে না ◈ পুঁজিবাজারে এক মাসে ১৭ হাজার কোটি টাকা ‘হাওয়া’, বিএসইসির নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষোভ ◈ আবেগঘন মুহূর্ত: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ৯ মাসের শিশুপুত্রের সঙ্গে মায়ের বিচ্ছেদ

প্রকাশিত : ১৭ জুলাই, ২০২৪, ০১:৪৩ রাত
আপডেট : ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমার দুই সন্তান বাপ ডাকবে কাকে

অনুজ দেব, চট্টগ্রাম: মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেলা প্রায় সাড়ে ৩টা। ঘটনাস্থল চট্টগ্রামের মুরাদপুর। কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কোটা আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের দুই পক্ষে চলছিল তুমুল সংঘর্ষ। এসময়টাতেই লালখান বাজারের বাসা থেকে ভাত খেয়ে কর্মস্থলে ফিরছিলেন শুলকবহরের একটি ফার্নিচার কারখানার শ্রমিক মো. ফারুক। সংঘর্ষের মধ্যেই বুকে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। আহত অবস্থায় চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে নগরের লালখান বাজারের বাসা থেকে ছুটে আসেন সীমা আকতার। সঙ্গে ছিলেন বাবা মো. শহীদ ও শ্বশুর মো. দুলাল। মো. ফারুকের মরদেহ তখন পড়ে আছে লাশ ঘরে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের লাশঘরের সামনেই বিলাপ করছিলেন সীমা। সাংবাদিকদের ছবি তুলতে দেখেই তার প্রশ্ন- ছবি তুলে আর কী করবেন। প্রশাসন চাইলে কি এসব বন্ধ করতে পারত না? আমার তো সব শেষ হয়ে গেছে।

সীমা বলেন, আমাদের সংসারে উপার্জনের আর কেউ নেই। আমার দুই সন্তান বাপ ডাকবে কাকে। আমি কোথায় গিয়ে দাঁড়াব। ছেলেমেয়েগুলো এখনো নাবালক, আমার সন্তানদের কে দেখবে। আমার ছেলেমেয়েরা এখনো জানে না, তাদের বাবা নেই। কী বলব তাদের, তা জানি না।

নিহত ফারুকের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। ফারুক ও সীমা আকতারের এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে ফাহিম বাগমনিরাম সিটি করপোরেশন উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। মেয়ে ফাহিমা বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের কেজি শ্রেণির ছাত্রী।

চট্টগ্রামে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে মো. ফারুকসহ এ পর্যন্ত তিন জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মারা যাওয়া অন্য দু’জন হলেন- চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের ছাত্র এবং কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. ওয়াসিম আকরাম (২২) ও নগরীর ওমরগণি এম ই এস কলেজের ছাত্র ফয়সাল আহমেদ শান্ত (২১)। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের আহত অন্তত ৮০ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়