শিরোনাম
◈ স্বাস্থ্যখাতে বড় রদবদলের সুপারিশ: পৃথক সার্ভিস, বাজেট সংস্কার ও আউটসোর্সিং প্রস্তাব ◈ সরকারি কোয়ার্টার নিয়ে বহিরাগতদের কাছে উচ্চমূল্যে ভাড়া দিচ্ছেন কর্মকর্তারা ◈ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে চট্টগ্রামে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করলো পুলিশ (ভিডিও) ◈ এনসিপি নেতা হাসনাতের ওপর হামলার আগে ছাত্রলীগের হুমকি, বিচারের দাবিতে দেশজুড়ে প্রতিবাদ ◈ আলিফ হত্যা মামলায় চিন্ময় দাসকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ ◈ ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ১২০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে পারবে! ◈ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও লিভারপুল হে‌রে গে‌ছে, চেলসি ও ব্রেন্টফোর্ডের জয় ◈ হার্ভার্ড-এমআইটিকে পেছনে ফেলে বিশ্বমঞ্চে প্রথম বুয়েট ◈ পাকিস্তানের যে বিমান ভারতীয় জেনারেলদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে! ◈ ভারতের আগ্রাসী আচরণ এবং উস্কানিমূলক বিবৃতি’! নিরাপত্তা পরিষদে নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে নালিশ জানাচ্ছে পাকিস্তান

প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর, ২০২২, ০৫:২৮ বিকাল
আপডেট : ১৩ নভেম্বর, ২০২২, ০৫:২৮ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিয়ের আগেই ‘থ্যালাসেমিয়া’ পরীক্ষা করুন: ডা. মীর্জা নাহিদা 

ডা. মীর্জা নাহিদা বন্যা

শাহীন খন্দকার: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-রেজিস্ট্রাড ডা. মীর্জা নাহিদা হোসেন বন্যা বলেন, বিয়ের পিঁড়িতে বসার আগে অবশ্যই তরুণ-তরুণীদের কিছু পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, এমন কিছু রোগ আছে যা সন্তান পৃথিবী আসার আগে থেকে বোঝা যায় না। বাবা-মা’র রোগ চলে আসে উত্তরসূরীর দেহেও। যা সারাজীবন বইতে হয় সন্তানদের।

কিন্তু সামান্য কিছু পরীক্ষা করলেই তা প্রতিরোধ করা যায়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে তাই বিয়ের আগেই ওই পরীক্ষাগুলি করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন ডা. বন্যা। বিয়ের আগেই পাত্র-পাত্রি’র থ্যালাসেমিয়া, হেপাটাইসিস-বি, হেপাটাইটিস-সি জাতীয় রোগ আছে কি না তা পরীক্ষা করে নেওয়া খুবই জরুরি। সেইসঙ্গে যৌনরোগ আছে কি না তাও পরীক্ষা করে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

ডা. বন্যা বলেন, এই পরীক্ষা করতে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা খরচ হয়। অনেকের কাছে তা বেশি বলে মনে হতে পারে। কিন্তু সন্তানের কথা চিন্তা করলে এই খরচ এমন কিছু বেশি নয়। তাই বিয়ের আগেই এই পরীক্ষাগুলি করিয়ে নিলে সন্তানদের এই রোগ থেকে প্রতিরোধ করা যাবে। তার মতে প্রথমেই ‘থ্যালাসেমিয়া’ পরীক্ষা করানো দরকার।

স্বামী বা স্ত্রী কেউ ‘নেগেটিভ’ হলে তার সন্তানরা থ্যালাসেমিয়া বাহক হতে পারে। তাহলে তাদের সন্তানকে সারাজীবন এই রোগ বয়ে বেড়াতে হবে। এতে দেখা দেয় রক্তশূন্যতা। স্বামীর রক্তের গ্রুপ যদি পজিটিভ হয়, তাহলে স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ পজিটিভ হওয়া ভালো। স্বামীর রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ হয়, তাহলে স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ হলে ভালো। পজিটিভ হলেও ক্ষতি নেই।

কিন্তু স্বামীর রক্তের গ্রুপ যদি পজিটিভ হয়, স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ একই গ্রুপের নেগেটিভ হয় চলবে না। আর স্ত্রীর গ্রুপ যদি নেগেটিভ হয়, তবে তার জন্য নেগেটিভ গ্রুপধারী স্বামী হলে অনাগত সন্তানের অনেক স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়ানো যায়। যেমন স্বামীর রক্ত যদি পজিটিভ আর স্ত্রীর যদি নেগেটিভ হয়, তবে প্রথম সন্তানের ক্ষেত্রে তেমন সমস্যা না হলেও দ্বিতীয় সন্তান থেকে সমস্যা শুরু হতে পারে।

বিশেষ করে প্রথম সন্তান যদি পজিটিভ গ্রুপের রক্ত নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। তবে দ্বিতীয় সন্তানেরও যদি রক্ত পজিটিভ হয় সে ক্ষেত্রে সমস্যা বেশি হয়। যদি কারো স্বামীর গ্রুপ পজিটিভ ও স্ত্রীর গ্রুপ নেগেটিভ   হয়, তবে বাচ্চা ডেলিভারির আগেই চিকিৎসককে জানালে স্ত্রীর শরীরে বিশেষ ইমিউনোগ্লোবিউলিন প্রয়োগ করে মৃত্যুঝুঁকি কমানো যায়।

মির্জা নাহিদা হোসেন বন্যা আরও বলেন, ইমিউনোগ্লোবুলিন (গামা গ্লোবুলিন বা ইমিউন গ্লোবুলিন নামেও পরিচিত) হল মানব শরীরের রক্তরস থেকে তৈরি একটি পদার্থ। মানুষের দানকৃত রক্ত থেকে প্রক্রিয়াকৃত রক্তরস, যার মধ্যে অ্যান্টিবডি রয়েছে যা শরীরের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ করে।

তিনি বলেন, যারা থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত তাদের নিয়মিত রক্ত নিতে হয়। তাই  বিয়ের আগে স্বামী এবং স্ত্রী দুজনেরই Hb Electrophoresis পরীক্ষা করা উচিত। কারণ বাইরে থেকে বোঝা যায় না কেউ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত কি না।

পাত্র-পাত্রীর মধ্যে যদি কেউ আক্রান্ত হন তাহলে সন্তানদের মধ্যেও তা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই সঙ্গে হেপাটাইসিস বি এবং সি পরীক্ষা করানোর কথাও বলেন তিনি। এই রোগ আক্রমণ করে লিভারকে, তা থেকে ক্যান্সার হতে পারে। তাই বিয়ের আগে HBS Ag Anti-HBC করানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। 

কেউ যাতে সুরক্ষাবিহীন সহবাস না করেন এবং সিলিফিস, গনোরিয়া জাতীয় পরীক্ষাও বিয়ের আগেই করার কথাও বললেন ডা. বন্যা। সম্পাদনা: মাজহারুল ইসলাম

এসকে/এমআই/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়