শিরোনাম
◈ জুলাই ঘোষণাপত্র না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ◈ নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ ◈ সাভারে মেয়ের হাতে বাবা খুনের আসল ঘটনা নিয়ে যা জানা গেলো ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতি ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে আনন্দ উল্লাস! (ভিডিও) ◈ পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশকে জামায়াতের কাছে লিজ দিন: ডা. তাহের ◈ জনগণ পলাতক অপশক্তির পুনর্বাসন চায় না: তারেক রহমান (ভিডিও) ◈ লঞ্চে দুই তরুণীকে পেটানো যুবকের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ, আসলে কী হয়েছিলো? যা জানাগেল (ভিডিও) ◈ তামিম ইকবালকে নিয়ে যা বললেন মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরু (ভিডিও) ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে এতদিন পরে রাস্তায় কেন?

প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৯:৩৬ রাত
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৪:১৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চোখ উঠলে যা করবেন, যা করবেন না

চোখ ওঠা

এ্যানি আক্তার : চোখ ওঠা এটি একটি সাধারন বিষয়, চিকিৎসকের ভাষায় এটি কনজাংটিভাইটিস ভাইরাস। আসলে চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস হয় জীবাণু সংক্রমণের জন্য অথবা পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের প্রতি অ্যালার্জির কারণে। চোখের সাদা অংশের সামনে এবং চোখের পাতার ভেতরের দিকটায় যে স্বচ্ছ পর্দাটি থাকে, তার নাম কনজাংটিভা। আর এই কনজাংটিভার প্রদাহ হলেই তাকে বলা হয় কনজাংটিভাইটিস।

চোখ ওঠা মানে কিন্তু চোখ তুলে ফেলা নয়। কনজাংটিভাইটিস রোগকে চলতি ভাষায় চোখ ওঠা বলা হয়। এতে আক্রান্ত ব্যক্তির চোখ লাল হয়ে যায়, চোখ থেকে পানি পড়ে, চোখে অস্বস্তি বা চুলকানি হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে চোখে ব্যথা হতে পারে এবং চোখের পাতা ফুলেও যেতে পারে।

নির্দিষ্ট কোনো পদার্থের কারণে, যেমন চিংড়ি, গরুর মাংস, বেগুন, মিষ্টিকুমড়া খেলে অথবা ফুলের রেণু, ধুলা, ধোঁয়া বা পোকামাকড়ের পাখার সংস্পর্শে এলেই যদি কনজাংটিভাইটিস হয় এবং এমনটা বারবার হতেই থাকে, সে ক্ষেত্রে বুঝতে হবে ওই নির্দিষ্ট বস্তুর প্রতি অ্যালার্জির কারণে এ রোগ হচ্ছে। একই কারণে একই সঙ্গে শ্বাসকষ্ট বা ত্বকে অ্যালার্জিও হতে পারে। তাই এ সমস্যা প্রতিরোধে অবশ্যই ওই নির্দিষ্ট বস্তু এড়িয়ে চলতে হবে।

চোখ উঠলে যা করবেন
কুসুম গরম পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করতে হবে বারবার। অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ প্রয়োজন হতে পারে। তবে এসব ড্রপ অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিত। এই জীবাণু দ্রুত সংক্রমিত হয়, তাই আক্রান্ত ব্যক্তির উচিত ভিড় এড়িয়ে চলা।

বাতাসের মাধ্যমে বা চোখের দিকে তাকালেই জীবাণু অন্যদের আক্রমণ করে, ব্যাপারটা এমন নয়। আসলে আক্রান্ত ব্যক্তি চোখে হাত লাগানোর পর সেই হাত দিয়ে অন্য জিনিস, যেমন দরজার হাতল, ফোন, রুমাল, তোয়ালে ইত্যাদি স্পর্শ করলে অন্যরা সেটা থেকেই সংক্রমিত হন। কনজাংটিভাইটিস প্রতিরোধে বাইরে থেকে ফিরে চোখ ও চোখের পাতা পরিষ্কার খাবার পানি দিয়ে ধুয়ে নেওয়া উচিত। আক্রান্ত ব্যক্তির জিনিসপত্র আলাদা রাখতে হবে। বেশির ভাগ চোখ ওঠা স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ চিকিৎসায় সেরে যায়।

চোখ উঠলে যা করবে না
ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরালজনিত কনজেক্টিভাইটিস খুব সংক্রামক। বারবার চোখ-মুখ স্পর্শ করার অভ্যাস যাদের মধ্যে আছে তাদের মধ্যে এটি খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে। এজন্য চোখ-মুখ স্পর্শের আগে অবশ্যই ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। আক্রান্তদের কাছ থেকে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখুন। চোখের সংস্পর্শে আসা টিস্যু, ওয়াশক্লথ বা তোয়ালে পুনরায় ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। উপসর্গগুলো চলে না যাওয়া পর্যন্ত কন্টাক্ট লেন্স বা চোখের মেকআপ এড়ানো উচিত আক্রান্ত চোখে বারবার হাত লাগাবেন না বা ঘষবেন না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়