শরীরে ব্যথা বাড়ার পেছনে অন্যতম কারণ হলো উচ্চ মাত্রার মানসিক চাপ। কারণ মানসিক চাপ পেশীর টান বাড়ায় এবং শরীরের প্রদাহ প্রতিক্রিয়া বাড়িয়ে ব্যথার তীব্রতা বৃদ্ধি করে।এ ছাড়াও নানা রকম শারীরিক, মানসিক বা পরিবেশগত কারণে শরীরে ব্যথা বাড়তে পারে।
অপর্যাপ্ত ঘুম: অপর্যাপ্ত বা নিম্নমানের ঘুম ব্যথার সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। ঠিকমতো ঘুম না হলে শরীর কোষগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারাতে শুরু করে। ফলে সহজেই শরীরে ব্যথা বাড়ে।
অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড: মানুষের শরীরে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিড থাকে। সাধারণত পুরুষের ক্ষেত্রে ২.৪ থেকে ৭, এবং নারীদের ক্ষেত্রে ২.৪ থেকে ৬ মিলিগ্রাম ইউরিক অ্যাসিড প্রতি ডেসিলিটারে থাকাটা স্বাভাবিক। এর চেয়ে মাত্রা বেড়ে গেলে তাকে বলে হাইপার ইউরেসিমিয়া। রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে অস্থিসন্ধি বা জয়েন্টে ব্যথা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আবহাওয়ার পরিবর্তন: তাপমাত্রার পরিবর্তন আর্থ্রাইটিস বা অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার অবস্থাকে প্রভাবিত করতে পারে।
খাদ্যাভ্যাস: কিছু নির্দিষ্ট খাবার, যেমন প্রক্রিয়াজাত খাবার বা প্রদাহ সৃষ্টিকারী উপাদানযুক্ত খাবার, শরীরের প্রদাহ বাড়িয়ে দিতে পারে।
শারীরিক পরিশ্রম: অতিরিক্ত পরিশ্রম বা একেবারেই পরিশ্রম না করা, উভয়ই ব্যথা বাড়ার কারণ হতে পারে।
ধূমপান: ধূমপান রক্ত প্রবাহকে প্রভাবিত করে এবং শরীরের প্রাকৃতিক নিরাময় প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে, যা দীর্ঘস্থায়ী ব্যথাকে আরও খারাপ করে তোলে।
পানিশূন্যতা: পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করার ফলে পেশীতে ব্যথা এবং খিঁচুনি হতে পারে।
ব্যথার ধরন, তীব্রতা এবং ব্যথার নির্দিষ্ট স্থান (যেমন শরীরের একপাশে বা বাম দিকে) লক্ষ্য করুন, সেই অনুযায়ী ডাক্তারের পরামর্শ নিন। সূত্র: অ্যাপোলো হসপিটাল