বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে এয়ার কন্ডিশনার (AC)-এর ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, এর ব্যবহারের পাশাপাশি, এসি সম্পর্কিত দুর্ঘটনার সংখ্যাও বেড়েছে, যার মধ্যে বিস্ফোরণের ঘটনাও রয়েছে। আরও উদ্বেগজনক হলো, মেডিকেল গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা এসির শুষ্ক, ঠান্ডা বাতাসকে একটি "নীরব ঘাতক" হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা ধীরে ধীরে মানবদেহের ক্ষতি করতে পারে।
এখানে এসি ব্যবহারকারীদের জন্য প্রধান স্বাস্থ্য সতর্কতা এবং বিশেষজ্ঞদের সুপারিশগুলি তুলে ধরা হলো:
শুষ্কতা এবং অস্বস্তি: এসি থেকে নির্গত শুষ্ক বাতাস ত্বক এবং চোখের আর্দ্রতা হ্রাস করতে পারে, যা অস্বস্তির কারণ হয়। এটি শ্বাসনালীতে জ্বালাও সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে কাশি এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে, যা হাঁপানি এবং অ্যালার্জির মতো সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।
শ্বাসযন্ত্রের রোগ: নিয়মিত পরিষ্কার না করা এসি ইউনিটগুলো ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং ছত্রাকের প্রজনন কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে। এই জীবাণুগুলো তখন বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং বায়ুবাহিত রোগ সৃষ্টি করে, যা বিশেষ করে শিশুদের জন্য বিপজ্জনক।
ঠান্ডাজনিত সমস্যা: সরাসরি ঠান্ডা এসির বাতাসের সংস্পর্শে থাকলে ঠান্ডা, কাশি এবং অন্যান্য ঠান্ডাজনিত সমস্যা হতে পারে। ঠান্ডা বাতাস পেশী এবং জয়েন্টগুলিকে শক্ত করে ব্যথা এবং আড়ষ্টতা বাড়াতে পারে।
পানিশূন্যতা এবং মাথাব্যথা: দীর্ঘ সময় ধরে এসির মধ্যে থাকলে পানিশূন্যতা হতে পারে। উপরন্তু, চিকিৎসকেরা বলছেন যে দীর্ঘক্ষণ এর সংস্পর্শে থাকলে মাইগ্রেন বা অন্য ধরনের মাথাব্যথা শুরু হতে পারে, বিশেষ করে ঠান্ডাজনিত অসুস্থতার কারণে।
বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে বলেন যে সঠিক ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা সঠিক তাপমাত্রা বজায় রাখা এবং নিয়মিত এসির ফিল্টার পরিষ্কার করার পরামর্শ দেন। দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে, মাঝে মাঝে এসি থেকে বিরতি নিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। যদিও এসির বাতাস সরাসরি ক্ষতিকর নয়, এর অপব্যবহার এবং অবহেলা গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এটিএন নিউজ