শিরোনাম
◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি ◈ গণপ্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন: ভোলায় নাহিদ ইসলাম  ◈ গৌরনদীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলি আদেশ ঘিরে অবরোধ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

প্রকাশিত : ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৮:১৩ রাত
আপডেট : ১০ মে, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ১০টি ‘স্বাস্থ্যকর খাবার’ কিন্তু যা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়

আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এমন অনেক খাবার রয়েছে যেগুলোকে স্বাস্থ্যকর মনে করি। তবে জেনে অবাক হবেন, এমন কিছু খাবার রয়েছে যা স্বাস্থ্যকর হিসেবে পরিচিত হলেও তা অস্বাস্থ্যকর। জেনে নিন এমন ১০ খাবার সম্পর্কে।

ফ্লেভার দই: ফ্লেভার দই বা স্বাদযুক্ত দই। প্রোটিন বার বলা এ দই তথাকথিত স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় রাখা হয়। আসলে এটি ততটা স্বাস্থ্যকর নয় যতটা ভাবা হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে চিনি, কৃত্রিম ফ্লেভার এবং প্রিজারভেটিভ থাকে। যা স্বাস্থ্যের জন্য মটেই ভালো নয়।

গ্রানোলা :  গ্রানোলা এবং গ্রানোলা বার সম্পূর্ণ শস্য গুণের জন্য প্রশংসিত। তবে এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে চিনি যুক্ত করা হয় এবং ক্যালোরির মাত্রাও খুব বেশি থাকে। এর বিকল্প হিসেবে কম চিনি দিয়ে বাড়িতে তৈরি গ্রানোলা বা সাধারণ ওটস খেতে পারেন।

দই : খাদ্যতালিকায় দই হতে পারে স্বাস্থ্যকর। তবে ফ্লেভারযুক্ত দইয়ে চিনি থাকতে পারে, এ ক্ষেত্রে প্লেইন দই বা টক দই তালিকায় রাখতে পারেন।

প্রোটিন ড্রিংকস :  প্রোটিন ড্রিংকস ও প্রোটিন বার অনেকের কাছে স্বাস্থ্যকর মনে হলেও, এগুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে চিনি এবং অপ্রয়োজনীয় উপাদান—যেমন কৃত্রিম রং যোগ করা থাকে। যা স্বাস্থ্যকর নয়।

স্পোর্টস ড্রিংকস :  স্পোর্টস ড্রিংকস এবং এনার্জি বেভারেজে অনেকেই খেয়ে থাকেন। এতে প্রচুর পরিমাণে চিনি, কৃত্রিম রং ও ক্যাফেইনের মতো উচ্চ মাত্রার ক্যালরি উপাদান থাকে।

গ্লুটেন-ফ্রি স্ন্যাক্স :  গ্লুটেন-ফ্রি স্ন্যাক্স সব সময় স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে। অনেক প্রক্রিয়াজাত গ্লুটেন-ফ্রি স্ন্যাকসের মধ্যে চিনি, পরিশোধিত শস্য ও অতিরিক্ত ক্যালরি থাকতে পারে।

পরিশোধিত শস্য:  পরিশোধিত শস্য যা প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে তৈরি করা হয়। পরিশোধনের কারণে আঁশের মতো উপাদান ছাঁটাই পড়ে। ফলে প্রোটিন এবং ফাইবারের মতো পরিপূর্ণ পুষ্টি উপাদানের অভাব থাকে এবং এগুলোতে অতিরিক্ত চিনি অনেক বেশি পরিমাণে থাকতে পারে। অনেকেই সকালের নাশতায় পরিশোধিত শস্য দিয়ে তৈরি খাবার খেয়ে থাকেন, যা স্বাস্থ্যকর নয়।

স্মুদি:  বাড়িতে তৈরি স্মুদি সাধারণত পুষ্টিবিদদের পছন্দের তালিকায় থাকে। তবে স্মুদিতে ফলের কনসেন্ট্রেট, চিনি এবং ফাইবারের অনেক অভাব থাকে।

ডায়েট সোডা : ভাবা হয়ে থাকে ডায়েট সোডা ‘নো সুগার’। এ ভেবে নিশ্চিন্তে নিয়মিত পান করা ত্যাগ করুন। এটি স্বাস্থ্যকর নয়। কৃত্রিম মিষ্টি থাকে যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। এ বিকল্প হিসেবে লেবু বা পুদিনা দিয়ে ঘরে তৈরি পানীয় পান করতে পারেন।

ভেগান মিট:  অনেকে আমিষ খেতে পছন্দ করেন না। তবে এর পরিবর্তে বেছে নেন ভেগান এবং প্ল্যান্ট-বেসড মিট। তবে প্ল্যান্ট-বেসড মিট প্রক্রিয়াজাত খাবার। অত্যন্ত প্রক্রিয়াজাত উপাদান, লবণ, চিনি এবং আরও অনেক কিছু থাকে।

ফ্রোজেন দই :  ফ্রোজেন দইকে অনেকেই স্বাস্থ্যকর হিসেবে মনে করেন। তবে এটি অতিরিক্ত চিনি, কৃত্রিম উপাদান এবং ফ্যাট যুক্ত থাকে। যদিও সাধারণ আইসক্রিমের তুলনায় কম ফ্যাটযুক্ত হয়ে থাকে। তবে অতিরিক্ত চিনির পরিমাণ ও ক্যালরি কখনো আইসক্রিমের থেকে বেশি হতে পারে। উৎস: আজকের পত্রিকা।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়