ফরহাদ আমিন, টেকনাফ: রোববার(১৯মার্চ)সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার কারণে পর্যটকের নিরাপত্তা স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।তবে আবহাওয়া ভালো থাকলে কাল সোমবার থেকে পুনরায় এই নৌরুটে জাহাজ চলাচল শুরু হতে পারে।
এদিকে জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় দেড় হাজার পর্যটক সেন্ট মার্টিন দ্বীপে আটকে পড়েছেন।
স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়,রোববার সকাল থেকে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন এলাকায় হঠাৎ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা হওয়া বইতে শুরু করে। এ অবস্থায় পর্যটকের নিরাপত্তা স্বার্থে সকাল থেকে কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ছাড়তে দেয়নি স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্র জানায়,সেন্ট মার্টিন-কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন–চট্টগ্রাম ও টেকনাফ-সেন্টমার্টিন এ তিনটি নৌরুটে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, এমভি বে ওয়ান, কেয়ারি সিন্দাবাদ,কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন,এমভি আটলান্টিক, এমভি রাজহংস,এমভি বার আউলিয়া, এমডি কাজল, এমভি শহীদ সালাম, শহীদ সুকান্ত বাবু, এমভি পারিজাত ও এমভি বে-ক্রুজ গত ১৩ই জানুয়ারি থেকে এই নৌরুটে পর্যায়ক্রমে পর্যটক পরিবহন করে আসছিল।এর মধ্যে মালিক কর্তৃপক্ষ কক্সবাজার থেকে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস,চট্টগ্রাম থেকে এমভি বে ওয়ান ও টেকনাফ থেকে এমভি শহীদ সালাম,শহীদ সুকান্ত বাবু,এমভি পারিজাত ও এমভি বে-ক্রুজ পর্যটক পরিবহন বন্ধ করে দিয়ে অন্যত্র চলে গেছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফের ট্রাফিক সুপারভাইজার জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, রোববার বেলা১১টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন টেকনাফের উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃএরফানুল হক চৌধুরী।
পরে পর্যটকদের নিরাপত্তা স্বার্থে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে কোনো পর্যটকবাহী জাহাজকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যেতে দেওয়া হয়নি। আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো হলে কাল থেকে পুনরায় জাহাজ চলাচল শুরু হবে।
প্রতিনিধি/জেএ
আপনার মতামত লিখুন :