ডেস্ক রিপোর্ট: সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (আইকিউ) দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।
দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তৃতীয় স্থানে আছে। দ্বিতীয় স্থানে আছে পাকিস্তানের লাহোর। শীর্ষে আছে পোল্যান্ডের ক্রাকাউ। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে নয়টায় ঢাকার একিউআই (বায়ুর মান সূচক) স্কোর ১৭৮। সকাল সোয়া নয়টায় চতুর্থ স্থানে ছিল তাইওয়ানের কাওসিং (১৭৭)। এর চেয়ে ১ স্কোর কম নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে ভারতের মুম্বাই।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। আর ৩০১ এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে আরও পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয় গত বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত জাতীয় কমিটির প্রথম সভায়। সচিবালয়ের ওই সভায় বলা হয়, সারা দেশের অবৈধ ইটভাটাগুলো দ্রুত ভেঙে দেওয়া হবে। গাড়ির কালো ধোয়া নিয়ন্ত্রণে অভিযান চলবে। বড় বড় নির্মাণ কার্যক্রমের দূষণের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান জোরদার করা হবে।
ঢাকায় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বায়ুর মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী। এ মাসে মোট ৯ দিন রাজধানীর বায়ুর মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
একিউএয়ারের তথ্য বলছে, গত ৫ জানুয়ারি ঢাকার বায়ুমান ১৫৭ একিউআই সূচকে পৌছালেও ১৮ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা ৬ দিন এই মান ছিল ২০০ এর কাছাকাছি। এর মধ্যে ২২ জানুয়ারি সর্বোচ্চ ২৭৯ তে পৌছায়। এরপর ২৪ জানুয়ারি বৃষ্টি শুরু হলে ঢাকার একিউআই কিছুটা কমে আসে। তারপরও এই বায়ুমান ১৭০ এর নিচে নামেনি। অর্থাৎ বৃষ্টি সত্ত্বেও ঢাকার বায়ুমান এক দিনের জন্যও স্বাস্থ্যকর অবস্থায় ফিরে আসেনি। রিপোর্ট: রিয়াদ হাসান
আরএইচ/এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :