সিনেমার গল্পের প্রয়োজনে অনেক চলচ্চিত্রেই নায়ক-নায়িকাদের বিভিন্ন দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়। এমনও অনেক সিনেমা রয়েছে, যেসব সিনেমায় কিছু দৃশ্যে ঘনিষ্ঠ চুমুর দৃশ্য বা অন্তরঙ্গতার দৃশ্য বেশি থাকাতে অনেক অভিনয়শিল্পী অভিনয় না করার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন। কিন্তু কেউ কেউ আবার গল্পের প্রয়োজনে ছাপিয়ে গেছেন নিজেকে। উদ্দাম যৌনতায় মেতেছেন ক্যামেরার সামনেই।
সেটিও বাস্তবে! আজ এমন কিছু সিনেমা নিয়েই এ প্রতিবেদন। যেসব সিনেমায় ক্যামেরার সামনে যৌন দৃশ্যে নায়ক-নায়িকারা সত্যি সত্যিই মিলিত হয়েছিলেন। এই আলোচিত সিনেমাগুলোর দৃশ্যগুলো বিতর্ক তৈরির পাশাপাশি প্রশংসিতও হয়েছে বেশ।
ক্যালিগুলা
১৯৭০ দশকের সিনেমা ক্যালিগুলা। অন্য সমস্ত সিনেমার ক্ষেত্রে পথিকৃৎও বলা চলে। নির্মাতারা এটি মুক্তির আগে জানিয়ে দেন, এতে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা সত্যিকারের সেক্সুয়াল অ্যাক্ট পারফরম করেছেন। ফুল ফ্রন্টাল ন্যুডিটি থেকে, ওরাল সেক্স, সঙ্গম দৃশ্যে কোনো বডি ডাবল ব্যবহার করা হয়নি। যদিও সাধারণ দর্শক এবং ফিল্ম ক্রিটিকরা সিনেমাটি খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেননি।
অল অ্যাবাউট আনা
ডেনমার্কের সিনেমা। পরিচালক লার্স ভন ত্রিয়ের এটি সেক্সুয়াল সম্পর্ক নিয়ে তৈরি করেন। মাস্টারবেশন এবং সঙ্গম দৃশ্যগুলিতে অভিনয়ের সময় সিনেমার চরিত্ররা সত্যিকারের সেক্স করেন। সিনেমাটি নিয়ে দেশে যথেষ্ট সমালোচিত হয়। তাতে প্রযোজক জানান, সিনেমাটি এমন একটি বিষয়ের ওপর তৈরি যাতে সেক্সুয়াল অ্যাক্ট না দেখালে সিনেমার বিষয়বস্তু আঘাত পেত।
দ্য ব্রাউন বানি
এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্লোয়ি সেভিঙ্গি। মূলত তার বিভিন্ন দৃশ্য, বিশেষত ওরাল সেক্সের দৃশ্যগুলি সবই সত্যি পারফরম করেছেন তিনি। মুক্তির পর রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছিল এটি।
নিম্ফোম্যানিয়াক
যারা আন্তর্জাতিক সিনেমা সম্পর্কে খোঁজ রাখেন তারা নিশ্চয়ই জানবেন, সারা বিশ্বে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল নিম্ফোম্যানিয়াক সিনেমাটি। এর পরিচালক ছিলেন লার্স ভন ত্রিয়ের। সিনেমাতে সেক্স দৃশ্যের জন্য অভিনেতারা সত্যিই পারফর্ম করেন। কিছু দৃশ্যে পর্নো তারকাদের ব্যবহার করা হয়েছিল। দুই কিস্তিতে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটিতে যৌন দৃশ্যে সরাসরি সঙ্গম দেখানো হয়েছে যা বেশ আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল।
লাই উইথ মি
লরেন লি স্মিথ এবং এরিক ব্যালফোরের সঙ্গম দৃশ্য সিনেমাতে অন্যতম চর্চার বিষয় ছিল। আর হবে নাই বা কেন, সিনেমাতে সত্যিই পারফর্ম করেছেন দুজন। সিনেমার তারকাজুটি একাধিকবার সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছিলেন এর গল্পের খাতিরে। প্রাপ্তবয়স্কদের পছন্দের তালিকায় এটি উপরের দিকেই অবস্থান করছে।
সুইট সুইটব্যাকস ব্যাডঅ্যাস সং
১৯৭১ সালের সিনেমার প্রধান অভিনেতা মেলভিন ফান পেবলস প্রথমে সেক্স দৃশ্যের কথা অস্বীকার করলেও বহু বছর বাদে প্রকাশ পায়, সিনেমার দৃশ্য সব সত্যিই শুটিং করা হয়েছিল। শুটিং পরবর্তীকালে মেলভিন যৌন রোগে আক্রান্ত হন। কনট্রাক্ট অনুযায়ী তাকে কমপেনসেশনও দেওয়া হয়েছিল।
গান্ডু
কলকাতার প্লটে নির্মিত এক ক্রুদ্ধ কমবয়সী র্যাপার গান্ডুর স্বপ্ন সফল করার কাহিনি ‘গান্ডু’। সঙ্গে তাঁর দোসর রিক্সার রোজনামচা। সিনেমাটিতে ন্যুডিটি, গালিগালাজ, ড্রাগের নেশা ইত্যাদির কারণে কখনো মুক্তি পায়নি ভারতে। তবে কৌশিক মুখোপাধ্যায়ের এই সিনেমা ২০১০ সালে নিউ ইয়র্কে ‘সাউথ এশিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এ প্রিমিয়ার হয়েছিল। দর্শকমহলেও ব্যাপক আলোচিত এটি। এতেও যৌন দৃশ্যের জন্য বাস্তবেই সঙ্গমে মিলিত হন অভিনেতা-অভিনেত্রী।
বেইস মোয়া
ফরাসি সিনেমা। যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় ‘আমার সঙ্গে সঙ্গম করো’। টাইটেল দেখেই আন্দাজ করা যেতে পারে সিনেমাতে সেক্সুয়াল দৃশ্য থাকবে। সিনেমার সঙ্গম দৃশ্য শুধুমাত্র গ্রাফিকই নয়, রীতিমতো পর্নোগ্রাফির সঙ্গে এ সিনেমার তুলনা করেছেন ফিল্ম ক্রিটিকরা।
নাইন সংস
এটি একটি ব্রিটিশ আর্ট রোম্যান্টিক ড্রামা সিনেমা। ২০০৪ সালে মুক্তি পায় এই সিনেমা। সিনেমার পরিচালনা করেন মাইকেল উইন্টারবটম। সিনেমাতে মোট ৮টা ভিন্ন ব্যান্ডকে গান গাইতে দেওয়া হয়েছিল। তা থেকেই সিনেমার নামকরণ করা হয়। এই সিনেমায় সত্যিকারের সেক্স শুটিং হয়েছে।
লাভ
এটিও একটি ফরাসি সিনেমা। সিনেমার পরিচালনা করেছিলেন গ্যাসপার নুই। ২০১৫ সালে কান ফিল্ম ফেস্টিভালেও দেখানো হয় সিনেমাটিকে। প্রধানত ভালোবাসা ঠিক কি তাই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সিনেমাতে। সিনেমাটিতে একাধিকবার শুটিংয়ে সত্যিকারের সেক্স করানো হয়েছে অভিনয়শিল্পীদের মাঝে। এটি বেশ সাড়া জাগানো চলচ্চিত্র যা সমালোচকদের প্রশংসাও কুড়িয়েছে।
সূত্র : আইএমডিবি