শিরোনাম
◈ ২০২৫-২৬ অর্থবছর: বাড়তে পারে সেবা মাশুল, সুদ, টোল ও ইজারামূল্য ◈ কেন দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, ‘স্ট্রেইট কাট’ জানালেন পিনাকী ভট্টাচার্য (ভিডিও) ◈ ভয়াবহ নতুন তথ্য বাংলাদেশসহ ৮ দেশে অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে ◈ ১৪ হাজারের বেশি হজযাত্রীর ভিসা এখনো হয়নি ◈ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জরুরি বৈঠক, ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি ◈ চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গাদের জন্য জামায়াতের রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাবে যা বলল মিয়ানমার ◈ বিমানের বিশেষ সুবিধা ফিরিয়ে দিলেন খালেদা জিয়া ◈ সরকারের হস্তক্ষেপ না থাকায় গণমাধ্যম সূচকে উন্নতি : মাহফুজ আলম ◈ বাংলাদেশ সফর কর‌বে ভারত, বাতিলের শঙ্কা উড়িয়ে দিল বিসিবি ◈ ২ কৃষককে ফেরত পাওয়ায় ২ ভারতীয়কে ছেড়ে দিল বিজিবি (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ০৭:৪৯ বিকাল
আপডেট : ০২ মে, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঢাকাই সিনেমায় অশ্লীল দৃশ্য দেখে নওশাবা নিজেই লজ্জিত

একটা সময় ঢাকাই সিনেমায় ছেয়ে গিয়েছিল অশ্লীলতা। ছিল কাটপিসের রমরমা ব্যবসা। সেটিকে সিনেমার অন্ধকার যুগও বলা হয়ে থাকে। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০০০ সালের পরবর্তী সময়টা ছিল সেই ‘অন্ধকার যুগ’। তখন থেকেই দর্শকরা সিনেমা হল বিমুখ হতে শুরু করেন। সম্প্রতি ঢাকার বাইরে থেকে সেই সময়ের দুটি সিনেমা জব্দ করেছে পুলিশ। পরে সেগুলো পাঠানো হয়েছিল চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের কাছে। আর কাটপিসযুক্ত অশ্লীল সিনেমা দেখে বিব্রত সার্টিফিকেটশন বোর্ডের সদস্যরা।

জানা গেছে, গেল মঙ্গলবার সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্যরা জব্দ করা ‘জাঁদরেল’ ও ‘শক্র ঘায়েল’ নামের সিনেমা দুটি দেখেন। পুলিশের অভিযোগ- সিনেমায় অশ্লীল কাটপিস দৃশ্য লাগিয়ে সেগুলো হলে চালানো হচ্ছিল। পরে তার সত্যতা পান বোর্ডের সদস্যরা। বাতিল হয় প্রদর্শনের অনুমতিও।

সেন্সর বোর্ডের সদস্য নির্মাতা খিজির হায়াত বলেন, ‘এত জঘন্য কাটপিস, যা কোনোভাবেই দেখার মতো নয়। এত অশ্লীলতা, নগ্নতা বাংলা সিনেমার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া বাক্‌রুদ্ধ করেছে। এ ধরনের রুচিহীন কাজ যারা করেছেন, তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত। আমরা সিনেমা দুটি দেখে আমাদের মতামত জানিয়েছি।

এ ধরনের সিনেমা যেন আর কোথাও কোনো সিনেমা হলে না চালানো হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন, এমন মতামত জানিয়েছি।’

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও লিখেছেন তিনি। বলেছেন, ‘কাটপিস আমলে সেন্সর সার্টিফিকেট প্রাপ্ত জব্দ হওয়া একটা সিনেমা সার্টিফিকেশন বোর্ডে আজকে দেখে লজ্জায়, ঘৃণায় বমি চলে আসছে, ছিঃ। এরাই বাংলাদেশী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে ধ্বংস করার অন্যতম কারিগর। যেখানেই কাটপিস সিনেমা চলবে নিকটতম প্রশাসনকে জানানোর জোর দাবি থাকল।’

সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্য ও অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ বলেন, ‘এই সিনেমাগুলো দেখা আমার জন্য বিব্রতকর ছিল। আমি লজ্জিত। একটি সিনেমায় অদ্ভুতভাবে আজে-বাজে দৃশ্য জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের সিনেমা কোনো সভ্য দেশের দর্শকের জন্য নয়।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দায়িত্ব নেওয়ার পরে ইতিমধ্যে ‘নয়া মানুষ’, ‘ভয়াল’, ‘যাপিত জীবন’সহ ১০টি সিনেমা দেখেছেন চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্যরা। নতুন সিনেমা না থাকার শূন্যতায় বিভিন্ন হলে কাটপিস সিনেমা চলছে এমনটা শুনেছেন তারা। তবে যারা এমন অশ্লীল সিনেমা চালাচ্ছেন, তাদের শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে সার্টিফিকেশন বোর্ড সূত্র।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়