মহসিন কবির: ভোটকেন্দ্র স্থাপনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) প্রধান করে কমিটি করার বিধান বাতিল করা হয়েছে। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০২৫’ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এখানে রাখা হয়েছে ইসির কর্মকর্তাদের। এ ছাড়া আগামী নির্বাচনে থাকছে না ইভিএমও। সোমবার (৩০ জুন) এই নীতিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
নীতিমালা থেকে জানা যায়, মহানগর, জেলা, উপজেলা ও থানা পর্যায়ের প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে ভোটকেন্দ্র স্থাপন কমিটি রাখা হয়নি। ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নির্বাচন কর্মকর্তাদের একক ক্ষমতা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বাদ দেওয়া হয়েছে ইভিএমে ভোট দেওয়ার জন্য কক্ষ নির্ধারণের বিষয়টি।
২০২৩ সালের ভোটকেন্দ্র নীতিমালায় ভোটকেন্দ্র নির্ধারণের ক্ষেত্রে ডিসি ও এসপিদের সমন্বয়ে একটি জেলা কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন। এ কমিটির মাধ্যমেই ভোটকেন্দ্র স্থান নির্ধারণ ও পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো। তবে এই কমিটিগুলোর নিরপেক্ষতা ও রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
নিবন্ধনপ্রত্যাশী দল যাচাইয়ে ইসির বিশেষ টিম
গত ২১ মে এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ইসির পঞ্চম কমিশন ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা’ অনুমোদন করা হয়। সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালায় যে কমিটি ছিল আমরা তা বিলুপ্ত করেছি। এটা কমিশনের অধীনে আনা হয়েছে। যেহেতু ইভিএমে ভোটের ব্যবস্থা নেই, তাই ইভিএম-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আমরা বাতিল করেছি।
নীতিমালা অনুযায়ী, বরাবরের মতো গড়ে ৩ হাজার ভোটারের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র, গড়ে ৫০০ জন পুরুষ ও ৪০০ জন নারী ভোটারের জন্য একটি ভোটকক্ষ নির্ধারণ করা হবে।
সবশেষ ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৪২ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্র ছিল। ভোটকক্ষ ছিল ২ লাখ ৬০ হাজারের বেশি।
এবার সাড়ে ১২ কোটি ভোটারের জন্য আরও বেশি ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষ দরকার হবে। ভোটকেন্দ্র নিয়ে দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি করে ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে সব ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।