বিশ্বজিৎ দত্ত: [২] ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবই ছিঁড়ে ফেলার যে ঘটনা ঘটিয়েছেন, সেটিকে ‘ধ্বংসাত্মক’ বলেছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। তারা মনে করে, এটি ‘অশিক্ষকসুলভ আচরণ’। এ কারণে আসিফ মাহতাবের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনিভার্সিটি।আজ সোমবার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির এক বিবৃতিতে এই কথা বলা হয়েছে।
[২] নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের একটি অধ্যায়ে হিজড়া জনগোষ্ঠী সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক একটি পাঠ রয়েছে। এ নিয়ে বিতর্ক চলছে। বিষয়টি নতুন করে সামনে আসে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সদ্য সাবেক একজন খণ্ডকালীন শিক্ষক একটি অনুষ্ঠানে ওই বইয়ের পাতা ছিঁড়ে ফেলার পর। ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
[৩] ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বিবৃতিতে বলা হয়, সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সব মত ও আদর্শের জন্য সহনশীলতা ও সম্মানের ভিত্তিতে গঠনমূলক আলোচনা, বিতর্ক এবং পারস্পরিক মতবিনিময়ে বিশ্বাস করে। কিন্তু ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য আচরণ, যা ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সমর্থন করে না। সাম্প্রতিক সময়ে আসিফ মাহতাব বাংলাদেশ সরকারের প্রকাশিত সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে এবং পাবলিক ফোরামে অন্যদের একই কাজ করতে বলার ঘটনাটি একটি ধ্বংসাত্মক কাজ বলে মনে করে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। তারা এ ধরনের অশিক্ষকসুলভ আচরণকে কোনোভাবেই সমর্থন করে না।
[৪] এ কারণে ব্যাক ইউনিভার্সিটি ২০২৪ সালের ‘স্প্রিং সেমিস্টারের’ জন্য আসিফ মাহতাবকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নতুন চুক্তি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ইউনিভার্সিটি আসিফ মাহতাবকে এই সেমিস্টারের প্রস্তুতিমূলক কাজে তাঁর সময় ও প্রচেষ্টার জন্য পারিশ্রমিক দেবে।
[৫] বিবৃতিতে বলা হয়, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সব ক্ষেত্রে দেশের সংবিধান ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং দেশের প্রচলিত বিধিবিধান মেনে চলার বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সমকামিতার প্রচার ও প্রসারের সঙ্গে যুক্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু মহলের এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তবে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি প্রত্যেক মানুষের সমান অধিকার এবং সম্ভাবনা বিকাশের পথে সমান সুযোগ সৃষ্টিতে বিশ্বাস করে।
বিডি/এইচএ