শিরোনাম
◈ নিরাপত্তা সতর্কতায় পুলিশ, রাজধানীতে রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি ◈ ‘বিএনপি ১০০ বছর চেষ্টা করেও গণভোট ঠেকাতে পারবে না’ (ভিডিও) ◈ পেট্রোল বোমাসহ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুই নেতা আটক ◈ প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ২য় ধাপে বড় বিজ্ঞপ্তি ◈ পাটওয়ারীর ও হাসনাতের সাথে ডা. জাহিদ রায়হানের বাকবিতণ্ডা! (ভিডিও) ◈ হাসিনার মামলার রায়: ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের চিঠি ◈ ডাকসুতে শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্ত ◈ রংপুরে ভুয়া নারী সৈনিক সেজে অনলাইনে প্রেমের ফাঁদ, এরপর যা ঘটল! ◈ পুলিশ সুপারের বাসভবনে আগুন ◈ ভারতীয় রাষ্ট্রদূত তলব : হাসিনার গণমাধ্যমে প্রবেশাধিকার নিয়ে গভীর উদ্বেগ 

প্রকাশিত : ১৬ মে, ২০২৫, ০৩:০২ রাত
আপডেট : ২০ অক্টোবর, ২০২৫, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চার দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের, বাদ জুমা গণঅনশন

চার দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাত ১১টায় দাবিগুলো নিয়ে একটি বৈঠক করেন জবির প্রতিনিধি দল। এরপর রাত ১২টায় বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো ইতিবাচক বার্তা না পাওয়ার কথা জানান আন্দোলনকারীরা।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের ন্যায্য দাবির বিষয়ে এখনো সরকারি কোনো ‘গ্রিন সিগন্যাল’ আসেনি। তাই আন্দোলন আরও তীব্র করা হবে বলে জানানো হয়। একই সঙ্গে আগামীকাল শুক্রবার (১৭ মে) বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে “অনশন কর্মসূচি” পালনের ঘোষণা দেন তারা।

রাত পৌনে ১২টায় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদদীন তিনটি নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ঘোষিত কর্মসূচিগুলো হলো:

১. দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি চালু থাকবে।
২. শুক্রবার সকাল ১০টায় প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
৩. বাদ জুমা থেকে শুরু হবে গণঅনশন কর্মসূচি।

দাবি আদায়ের লক্ষ্যে চলমান এ আন্দোলন ঘিরে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি না মানা পর্যন্ত এই কর্মসূচি আরও বিস্তৃত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিক্ষক পর্যন্ত সকলে আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছেন।

উল্লেখ্য, জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে—শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা, এবং একটি স্বাধীন ও কার্যকর গবেষণা পরিবেশ নিশ্চিত করা।

আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে, সরকার খুব দ্রুত উদ্যোগ নেবে এবং যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি স্থিতিশীল ও মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়