রায়হান আবিদ, বাকৃবি: [২] বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা, গবেষণা ও প্রদর্শনীর জন্য দেশে প্রথম বারের মত গয়াল ও আফ্রিকান কমন ইল্যান্ডের কঙ্কাল প্রস্তুত করা হয়েছে।
[৩] প্রাণিগুলোর কঙ্কাল প্রস্তুত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি এন্ড হিস্টোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। এপর্যন্ত তিনি প্রায় ১৪টি প্রাণির কঙ্কাল প্রস্তুত করেছেন।
[৪] বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার সহযোগিতায় ২০১৯ সাল থেকে এনাটমি মিউজিয়ামের উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে উদ্যোগ গ্রহণ করেন অধ্যাপক রফিকুল। এ পর্যন্ত ১৪টি প্রাণির কঙ্কাল সংযোজন করা হয়েছে। গয়াল, আফ্রিকান কমন ইল্যান্ড, হাতি, জিরাফ, শুশুক, হরিণ, অ্যারাবিয়ান হর্স, বানর, খরগোশ, বিড়াল, কুকুর, টার্কি, হাঁস ও মুরগি মিউজিয়ামে প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়েছে। এছাড়া জলঢোঁড়া সাপ ও লেঙ্গুরের কঙ্কাল বানানোর কাজ চলমান রয়েছে।
[৫] অধ্যাপক রফিকুল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে থেকেই এনাটমি মিউজিয়াম রয়েছে। তবে এনাটমি এন্ড হিস্টোলজি বিভাগে মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং গবেষণার লক্ষে মিউজিয়ামে বিভিন্ন জাতের দেশি-বিদেশি, গৃহপালিত ও বন্য প্রাণির কঙ্কাল সংযোজন করা হচ্ছে । ভেটেরিনারি শিক্ষার্থীদের প্রাণির বিভিন্ন অঙ্গ, অস্থি ও মাংসপেশির অবস্থান সম্পর্কে ধারনা দিতে ভূমিকা রাখবে সংগ্রহশালাটি।
[৬] পশু চিকিৎসকদের সকল ধরনের গৃহপালি ত ও বন্য প্রাণির চিকিৎসা করতে হয়। তাই পশু চিকিৎসকদের পশুর এনাটমি সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা রাখতে হয়। তাছাড়া সার্জারি, মেডিসিন, ফিজিওলজির বিষয়গুলোতে দক্ষতা অর্জন করতে পারবে না। এছাড়াও বিলপ্তুপ্রায় প্রাণিদের নিয়ে গবেষণা ও সচেতনতা বৃদ্ধির করতেও মিউজিয়ামটির তৈরি করা হচ্ছে। আগামীতে আরও অর্থায়ন পেলে বড় পরিসরে মিউজিয়ামটির উন্নয়ন ও সংগ্রহ বাড়াতে পারবো। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস