মঈন উদ্দিন: [২] রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্নুজান হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারজানা শশী ফেসবুক লাইভে এসে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একইসঙ্গে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা, প্রক্টোরিয়াল বডি, প্রক্টর, ভিসি-প্রোভিসির নিয়োগ দেওয়াটা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ভুল সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেন। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফেসবুক লাইভে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ফারজানা শশী।
[৩] এ ব্যাপারে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য সুলতান-উল-ইসলাম বলেছেন, ‘শশীর ফেসবুক লাইভের বক্তব্য সীমা লঙ্ঘনের শামিল।’ তিনি বলেন, ‘ওই ছাত্রলীগ নেত্রী আমাদের নিয়োগ নিয়ে কথা বলেছে। আমরা যখন দল করেছি, যোগ্যতা অর্জন করেছি, তখন তার জন্মই হয়নি। আমাদের সম্পর্কে কথা বলতে হলে আমাদের বিষয়ে জানতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নিয়োগ দিয়ে ভুল করেছে, এত বড় স্পর্ধা তার দেখানো উচিত হয়নি। এটি তার সীমা লঙ্ঘন করা বক্তব্য।’
[৪] সুলতান-উল-ইসলাম আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে তার ভাবা উচিত, তার এ বিষয়ে বলার এখতিয়ার রয়েছে কিনা।’
[৫] বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ‘এই ধরনের অর্বাচীন বক্তব্য সুখকর নয়। এ বিষয়ে খুব বেশি কিছু বলার নেই। তবে আমাদের সবার কথা বলার আগে লক্ষ্য রাখা উচিত, আমি কী করছি, কী বলছি, আমার অবস্থান কী। তা ছাড়া আমি দলীয় পরিচয়ে হাইলাইটস হতে চাই না।’
[৬] সাংবাদিকদের বিষয়ে মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (রাবিসাস) সভাপতি তৌসিফ কাইয়ুম বলেন, ‘ক্যাম্পাসে বর্তমানে ছাত্রলীগের একক আধিপত্য চলছে। ছাত্রত্ব না থাকলেও হলে থাকছেন ছাত্রলীগের নেত্রীরা। এসব অনিয়ম ঢাকতে সাংবাদিকদের ওপর দায় চাপাচ্ছেন তারা।’ সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
প্রতিনিধি/টিএবি/এনএইচ