রহিদুল খান ,যশোর: বিভিন্ন স্কুল কলেজে কর্মরত ৬৭৮ জাল সনদধারী শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
একইসঙ্গে তাদের এমপিও বন্ধ করার এবং অবৈধভাবে এমপিও বাবদ ভোগ করা লাখ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে। এছাড়া জাল সনদধারী যে সব শিক্ষক অবসরে গেছেন তাদের অবসর সুবিধা বাতিল করতে বলেছে মন্ত্রণালয়।
যারা স্বেচ্ছায় অবসরে গেছেন বা চাকরি ছেড়ে পালিয়েছেন তাদের টাকা অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে আদায় করতে বলা হয়েছে। আর জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। তাছাড়া জাল সনদধারী শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছে মন্ত্রণালয়। গত ১৮ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এ সব নির্দেশনা দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠির অনুলিপিও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে পাঠানো হয়েছে। যশোরের চৌগাছা উপজেলার চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন মাকাপুর বল্লভপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারি শিক্ষক মুসলিমা খাতুন। তিনি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় তাকে কোন টাকা ফেরত দিতে হবে না। গরীবপুর আর্দশ বিদ্যাপিঠের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারি শিক্ষক নাজমা পারভীন, তার ইনডেক্স নং ১০৪০৫৬৩ ।
তিনি বেতনভাতা বাবদ এ পর্যন্ত উত্তোলন করেছেন ৫ লাখ ১০ হাজার ৭৭০ টাকা। তাকে এ টাকা ফেরত দিতে হবে। একই বিদ্যালয়ের একই বিভাগের সহকারী শিক্ষক রোজিনা খাতুনকেও চাকরিচ্যুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তার ইনডেক্স নং ১০৬৪৫৬৩। তিনি এ পর্যন্ত ৩ লাখ ১০ হাজার ১০ টাকা বেতন ভাতা বাবদ উত্তোলন করেছেন তাকেও এটাকা ফেরত দিতে হবে।
একই বিদ্যালয়ের হিন্ধু ধর্ম বিষয়ের সহকারি শিক্ষক যতীন্দ্রনাথ মন্ডলকেও চাকরিচ্যুতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন পর্যন্ত বেতন ভাতা বাবদ কোন টাকা উত্তোলন করেননি।
সলুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিষয়ের সহকারি শিক্ষক শপিকুল ইসলামকে জাল সনদের অভিযোগে চাকরিচ্যুতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । তার ইনডেক্স নং ১০৪২২৯৬। তিনি বেতন ভাতা বাবদ এ পর্যন্ত ১০ লাখ ৬১ হাজার ৩০ টাকা উত্তোলন করেছেন। তাকেও এ টাকা ফেরত দিতে হবে।
চাকরিচ্যুতির আর একজন শিক্ষক হলেন চাঁদপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক তানিয়া আক্তার। তার ইনডেক্স নং ১০৬২১৮৬। তিনি এ পর্যন্ত বেতন ভাতা বাবদ ১৫ লাখ ৫ হাজার ১২ টাকা উত্তোলন করেছেন। তাকেও এ টাকা ফেরত দিতে হবে। চাকরিচ্যুতির নির্দেশপ্রাপ্ত এ সব প্রতিষ্ঠান প্রধানরা বলেন আমরা এ সংক্রান্ত কোন চিঠি এখনো পাইনি।
এদিকে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি সুত্র জানায় শিক্ষক নিয়োগের সময় সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিরা লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে এ সব নিয়োগ দিয়ে থাকেন,যার ফলে তারা নিয়োগ প্রাপ্তদের সনদপত্র যথাযথভাবে যাচাই বাছাই করেননা।
প্রতিনিধি/জেএ
আপনার মতামত লিখুন :