শাখাওয়াত মুকুল: চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডকে প্রতিষ্ঠান পাঠদান, স্বীকৃতি এবং নবায়নের ক্ষমতা প্রদান করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। কিন্তু অদ্যবদি দায়িত্ব বুঝে পায়নি তারা। এতে করে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড তাদের অধীনে অনেক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করলেও এখনও অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি। ফলে অনুমোদন না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলো।
প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে অফিস ভাড়া দিয়ে অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ৯ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়নে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছে বাংলাদেশ জাতীয় দক্ষতামান কেন্দ্রীয় অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএসসিএ)।
সংগঠনের সভাপতি ফয়সল হাসান মিরাজ ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত আবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সনের ৬৬ নং আইনের ধারা ২৭ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রজ্ঞাপনের ৯ ধারায় বলা আছে, কারিগরি শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান স্থাপন, পাঠদান, স্বীকৃতি, স্বীকৃতি নবায়ন, স্বীকৃতি স্থগিত বা বাতিলে ক্ষমতা বোর্ডেরও উপর ন্যস্ত থাকবে। ফলে, সরকারের এই প্রজ্ঞাপন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ অমান্য করে অ্যাফিলিয়েশনের স্ব^ীকৃতি এবং চূড়ান্ত অনুমোদন প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করছে, যা অত্র আইনের ৯ ধারা অনুযায়ী সম্পুর্ন পরিপন্থি। দ্রুত সময়ের মধ্যে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডকে অ্যফিলিয়শনের সকল ক্ষমতা প্রদানের জন্য ওই আবেদনে বলা হয়।
এই বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহম্মদ মহাসিন এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এসএম/জেএ