শিরোনাম
◈ বাংলাদেশসহ ৩ দেশের সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা জারি করল ভারত ◈ নতুন নির্দেশনা: সরকারি কর্মচারীদের বেতন থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাটবে কর ◈ সৎ ও স্বপ্নবাজ মানুষরাই হবে নতুন রাজনীতির চালিকাশক্তি”— নাহিদ ইসলাম ◈ এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, ‘নিক্ষেপকারীরা’ আটক (ভিডিও) ◈ মহাসড়কে আগুন জ্বালাতে গিয়ে ছাত্রদল নেতা দগ্ধ ◈ নতুন নির্বাচনী আচরণবিধি জারি: পরিবেশ রক্ষা ও ব্যয় নিয়ন্ত্রণে কঠোর শর্ত ◈ প্রবাসীকে বাদ দিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন কীভাবে হয়, প্রশ্ন ইসি সানাউল্লাহর ◈ দেশে আবারও বাড়ল সোনার দাম, ভরি কত? ◈ হঠাৎ যেভাবে ধানমন্ডির ভোটার হলেন আসিফ মাহমুদ ◈ নভেম্বরের ৯ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহে ৪৮.৭ শতাংশ বৃদ্ধি

প্রকাশিত : ৩১ আগস্ট, ২০২৫, ১০:৫৪ রাত
আপডেট : ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে নতুন বিধিমালা: নারী কোটা বাতিল

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে রাখা হয়নি নারী কোটা। তবে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২০২৪ সালের ২৩ জুলাই জারি করা সংশোধিত কোটা পদ্ধতি বহাল রাখা হয়েছে। সে অনুযায়ী মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ দেওয়া হবে, আর ৭ শতাংশ নেওয়া হবে কোটার ভিত্তিতে। মেধার ভিত্তিতে নির্ধারিত ৯৩ শতাংশের মধ্যে ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগের কোটা রাখা হয়েছে।

এছাড়া বিধিমালায় কোন বিষয়ে নতুন করে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ’৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হচ্ছে—এই ৯৩ শতাংশের মধ্যে ২০ শতাংশ নেওয়া হবে বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক প্রার্থীদের, আর ৮০ শতাংশ অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক প্রার্থীদের নেওয়া হবে।

নতুন বিধিমালায় নারী কোটা ও জেলা কোটা রাখা হয়নি উল্লেখ করে মহাপরিচালক বলেন, ‘নারী কোটা ও  জেলা কোটা রাখা হয়নি। আর এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতক পর্যন্ত কোনও পরীক্ষায় একটিতে তৃতীয় শ্রেণি থাকলে যে কেউ আবেদন করতে পারবে না। মেধার ভিত্তিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯৩ শতাংশের বাইরে সরকার নির্ধারিত (৭ শতাংশ) কোটা বহাল থাকবে।’ 

গত ২৮ জুলাই ‘সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ জারি করে সরকার। ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের ক্ষমতাবলে এই বিধিমালা জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

নতুন জারি করা বিধিমালার বিশেষ বিধানে বলা হয়, শিক্ষক নিয়োগ উপজেলা ও ক্ষেত্রমতে থানাভিত্তিক হবে। সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগযোগ্য ৯৩ শতাংশ মেধাভিত্তিক প্রার্থীদের মধ্যে ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের দ্বারা এবং ৮০ শতাংশ পদ অন্যান্য বিষয়ে স্নাত ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের দ্বারা মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগযোগ্য হবে। 

বিধিমালার অধীনে সরাসরি নিয়োগযোগ্য ৭ শতাংশের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা বহাল রাখা হয়।

বিধিমালায় কোটার বিষয়ে বিশেষ বিধানে আরও বলা হয়, কোটা বিভাজনের ক্ষেত্রে সরকার পরবর্তী সময়ে কোনও ভিন্নরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে নতুনভাবে জারি করা বিধান অনুসরণ করতে হবে। উৎস: বাংলাট্রিবিউন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়