বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগের ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। সুপারিশ পেয়েছেন ৪১ হাজার ৬২৭ জন প্রার্থী। পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান অবস্থায় অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীর অনুকূলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়োগপত্র দেবে।
সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের নিয়োগপত্র প্রাপ্তির ৭ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে হবে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিয়োগপত্র না দিলে প্রার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিয়োগপত্র প্রদানের পূর্বে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করতে হবে।
শূন্যপদের তথ্য ভুল প্রদান, যোগ্যতা যাচাই ছাড়া যোগদানপত্র গ্রহণ, বা প্রতিষ্ঠানের কোনো আইনি জটিলতার কারণে কোনো সমস্যা হলে, তার সম্পূর্ণ দায়ভার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে এনটিআরসিএ দায়ী থাকবে না।
এনটিআরসিএ জানিয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা তাদের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে টেলিটকের http://ngi.teletalk.com.bd লিংকে প্রার্থীদের নিয়োগ সুপারিশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। সুপারিশকৃত প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেয়ার আগে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানপ্রধান কর্তৃক পদের প্রযোজ্যতা অনুসারে প্রার্থীর কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদ এবং এনটিআরসিএ কর্তৃক ইস্যুকৃত সুপারিশপত্র সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত তিনজন শিক্ষকের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে যাচাই করতে হবে।
এতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে মোট শূন্য পদ ছিল ১ লখ ৮২২টি। পরে ৭৮০টি পদের চাহিদা বাতিল করা হয়। ফলে শূন্যপদ ছিল ১ লাখ ৪২টি। এ পদের বিপরীতে নিয়োগের সুপারিশ পেতে আবেদন করেন ৫৭ হাজার ৮৪০ জন। তাদের মধ্যে ৪১ হাজার ৬২৭ জনকে মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় ৫৮ হাজার ৪১৫টি পদ শূন্য থেকে গেছে। উৎস: কালের কণ্ঠ।