মুযনিবীন নাইম: [২] বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) হিজবুত তাহরীর ও ছাত্রশিবিরের মতো মৌলবাদী সংগঠন যে সক্রিয় তার অভিযোগ করেছিলাম। আমাদের অভিযোগের সত্যতা বুয়েটের সিসিটিভি ফুটেজ দেয়।
[৩] নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতিসহ, সামাজিক অবমাননা ও কালচারাল র্যাগিং এর প্রেক্ষিতে প্রেরিত অভিযোগের তদন্ত এবং ক্যাম্পাসে জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বুয়েটের একদল শিক্ষার্থীরা এসব কথা বলেছেন।
[৪] সোমবার বিকেল ৪টার দিকে বুয়েট শহীদ মিনারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে তারা। এসময় লিখিত একটি বিবৃতি পাঠ করা হয়।
[৫] বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থী, ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময় একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর দ্বারা আমাদেরকে অনলাইন ও সরাসরিভাবে হেনস্তা ও অপমানের শিকার হতে হয়েছে । রাতে একসাথে কাচ্চি খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে মিথ্যাচার রটানো হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এসেছিল এমন বানোয়াট মিথ্যা বুয়েটের চলমান ছাত্রদের ফেসবুক গ্রুপে অজ্ঞাতনামা পোস্ট দিয়ে ভিত্তিহীনভাবে সবার সামনে আমাদেরকে অপরাধী বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের উপর যে সব জাস্টিস শুরু করে তা আমরা উপাচার্য বরাবর জমা দিয়েছি, তবে কোনো ফায়দা হয়নি।
[৬] বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সিসিটিভি ফুটেজে যাদের দেখা গেছে তাদের বিরুদ্ধে খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তারা কি বুয়েটের নাকি বাইরের এই বিষয়টি নিয়ে আমরা সন্দিহান। যদি তারা বুয়েটের বাইরের হয় তবে তারা বুয়েটের অভ্যন্তরে প্রবেশ কিভাবে করলো? আর যদি বুয়েটের হয় তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের পরিচয় উল্লেখ করে তাদেরকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হোক।
[৭] এছাড়াও টাঙ্গুয়ার হাওরে যারা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের সাথে সংযুক্ত থাকার মামলার আসামি তাদের সাথে একই ক্যাম্পাসে একসাথে থাকাটা আমাদের জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ। জঙ্গীবাদের সিক্রেট গ্রুপে আমাদের নাম ও পরিচয় উন্মোচন আমাদের জন্য ভীতিকর এবং আমরা ধারণা করি আমাদের পরিচয় সেখানে উন্মোচিত করার সাথে অবশ্যই বুয়েটের কেউ সংযুক্ত। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
আপনার মতামত লিখুন :