অপূর্ব চৌধুরী,জবি: [২] জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ বি এস মাণিক মুনসীকে বিভাগের এক ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। অপরদিকে ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে কেন স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবেনা তার জবাব চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
[৩] বুধবার (০৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫তম সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে এসব বিষয় জানান সিন্ডিকেট সচিব ও জবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম।
[৪] অধ্যাপক মো. আইনুল ইসলাম বলেন, সিন্ডিকেট সভায় প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশ অর্থাৎ কেন স্থায়ীভাবে বরখাস্ত হবেনা সেই জবাব চাওয়ার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি গণিত বিভাগের মাণিক মুনসীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি এখনো প্রতিবেদন জমা না হওয়ায় এ বিষয়ে সিন্ডিকেট সভায় কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
[৫] এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক মাণিক মুনসীকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তার সাড়া পাওয়া যায় নি।
[৬] জানা যায়, গত বছরের সেপ্টেম্বরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের এক ছাত্রীর মানসিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ বি এস মাণিক মুনসীকে সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়৷ এরপর গত ২১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪তম (জরুরি ভিত্তিতে ডাকা) সিন্ডিকেট সভায় ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
[৭] প্রসঙ্গত, গত ১৬ মার্চ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রক্টর এবং এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ সেশনের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরোজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে তুমুল আন্দোলন শুরু হয়। তখন শিক্ষার্থীরা বিগত সময়ের বিভিন্ন যৌন নিপীড়নের অভিযোগের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে।
আপনার মতামত লিখুন :