শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধের ডাক হাসনাতের (ভিডিও) ◈ নারায়ণগঞ্জ থেকে কাশিমপুর কারাগারে আইভী ◈ ‘মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্যের’ জবাব দিলেন আসিফ নজরুল ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার রিপোর্ট দাখিল সোমবার ◈ জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায় : ডা. জাহিদ ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিবৃতি ◈ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল ◈ যমুনার সামনে বিক্ষোভকারীদের জুমার নামাজ আদায়, নিরাপত্তা জোরদার, বাড়তি সতর্কতা ◈ নিয়ন্ত্রণরেখায় ফের ভারত-পাকিস্তান সেনাদের গোলাগুলি ◈ পাকিস্তান যদি পাল্টা আঘাত হানে, তখন তা ঘোষণার কোনও দরকার হবে না: জেনারেল আহমেদ শরিফ

প্রকাশিত : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০২:১৯ দুপুর
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০৮:১২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বৃষ্টিতে বেড়েছে সবজির দাম, ২০০ টাকা ছাড়াল ব্রয়লার মুরগী

জেরিন আহমেদ: [২] গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে ১৮০ থেকে ১৯৫ টাকায় বিক্রি হওয়া মুরগী এখন বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা। বাজারে এমন কোনো সবজি নেই যার দাম বাড়তি না। বলতে গেলে বাজারে ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। এ ছাড়াও বেড়েছে লেয়ার ও পাকিস্তানি মুরগীর দাম। তবে গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত আছে। বাজার পরিস্থিতি নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। সূত্র: আরটিভি, জাগো নিউজ

[৩] শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শান্তিনগর ও কারওয়ান বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

[৪] এসব বাজারে , ব্রয়লার মুরগী প্রতি কেজি ২১০-২২০ টাকা, লেয়ার ৩৪০-৩৫০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগী ৩৪০-৩৫০ টাকা। গরুর মাংস ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ টাকা। গত সপ্তাহে এসব বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ১৮৫ থেকে ১৯৫ টাকা দরে। রাজধানীর হাতিরপুল বাজারে ২১০ টাকা ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হলেও তার একটু পাশে বাটা সিগনাল-নিউ মার্কেট সড়কের দোকানগুলোতে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা। আবার রাজধানীর মুগদা, মান্ডা খিলগাঁও, মালিবাগ বাজারে ২০০ থেকে ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগী। একইভাবে বাজার ভেদে ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে লেয়ার।

[৫] মুরগী বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে।

[৬] কারওয়ান বাজারের এক মুরগী বিক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহের থেকে এই সপ্তাহে কেনা বেশি পড়েছে। তাই দামও বাড়তি। কম দামে পেলে তো আমাদের দিতে সমস্যা নাই। তবে ক্রেতারা বলছেন, কারণ ছাড়াই নানা অজুহাতে বিক্রেতারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। খুচরা বাজারে কোনো মনিটরিং না থাকায় এমনটি হচ্ছে বলে মনে করেন তারা।

[৭] বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা আর আগের আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। অন্যদিকে, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় আর আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। এছাড়া ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়।

[৮] এদিকে, সবজি বাজারে তুলনামূলক কম দাম বলতে শুধু মাত্র পেঁপের কেজি ৪০ টাকা। আর বরবটি, টমেটো তো প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এ ছাড়া ১০০ ক্রস করে গাজর ১২০ টাকা কেজি। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। সব মিলিয়ে অন্যান্য নিত্যপণ্যের সঙ্গে সব সবজির দামও বলতে গেলে আকাশ ছোঁয়া।

[৯] এ ছাড়া মাছের বাজারে কিছুটা কমেছে পাঙ্গাসের দাম। ২০০ টাকা কেজির মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে এই ছোট পাঙ্গাস। তবে আগের দামেই তেলাপিয়া ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। যা কয়েক সপ্তাহ ধরে একই দামে বিক্রি হয়েছে। অন্য মাছের মধ্যে মাঝারি ও বড় আকারের চাষের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা। এ ছাড়াও পাবদা টেংরা, কই, বোয়াল, চিতল, আইড় ও ইলিশ মাছের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না

জেএ/টিএবি/এইচএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়