খালিদ আহমেদ: মধুমাস জ্যৈষ্ঠে মধুফলে ভরপুর বাজার। আম-জাম-কাঁঠাল-কলা-লিচু-জামরুল; কি নেই বাজারে। চারদিকে রসাল ফলের মৌ মৌ গন্ধ। বিকিকিনিও হচ্ছে হরদম।
বিক্রেতারা বলছেন, তরমুজ শেষ হতে হতেই পাকা আম-কাঁঠালে ভরে যাচ্ছে বাজার। ক্রেতারাও বলেন, শুধু জ্যৈষ্ঠই সাধ্যের মধ্যে থাকে ফলের বাজার।
বাজারে এখন দেশি ফলের রাজত্ব। আম-জাম-কাঁঠাল-কলা-লিচু-জামরুল-তরমুজে সরগরম রাজধানীর ফল বাজার। ঝুড়িভর্তি ফল আসছে রাজধানীর বাজারগুলোতে।
মিরপুরের ফল আড়তে গিয়ে তেমনই দৃশ্য চোখে পড়েছে। ট্রাকে ট্রাকে আসছে আম-কাঁঠাল-লিচু। তবে রাজধানীতে এখন বেশি পাওয়া যাচ্ছে সাতক্ষীরার আম, পাবনা ও জামালপুরের লিচু
সাতক্ষীরার গুটি আম পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। হিমসাগর মিলছে ৫৫ থেকে ৭০ টাকায়। গোপালভোগ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়।
এ বছর লিচুর ফলন ভালো হওয়ায় দাম অন্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম। ঈশ্বরদীর টসটসে পাকা এক হাজার লিচু পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১,২০০ থেকে ২,৮০০ টাকার মধ্যে।
বাজারে ঘ্রাণ ছড়ানো পাকা কাঁঠাল পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ৬০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। বিক্রেতারা বলছেন, এবার কাঁঠালের দাম তুলনামূলক কম।
তবে পাইকারিতে ফলের দাম সাধ্যের মধ্যে থাকলেও রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি ফল বিক্রি হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন দামে। তারপরেও ক্রেতারা খুশি।
তারা বলছেন, শুধু জ্যৈষ্ঠ মাসেই দাম কম থাকায় কিনে খেতে পারেন সবাই। তাছাড়া, এই সময়ের ফলের স্বাদের সঙ্গে আর অন্য কোন ফলের তুলনাও হয় না।
এদিকে বাজারে দেশি ফলের আধিক্যে কমে গেছে বিদেশি ফল আপেল-কমলা-আঙুরের বিক্রি।