শাহীন খন্দকার:[২] রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায় এ সপ্তাহে সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কাচাঁমরিচসহ বেগুনের কেজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কাচাঁ মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১০০ টাকায় আর বোম্বাই মরিচের শ’ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকাতে। সব চেয়ে কম দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে ঝিঙা ও দুনদুল ৩০ টাকায়।
[৩] ঈদের পর রাজধানীর বাজারে সব ধরনের চালের দাম ৩ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে। খুচরা বাজারে মোটা চাল ৫২ থেকে ৫৫, মিনিকেট ৭০, কাটারি ৭৫, নাজিরশাইল ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আটা-ময়দা কেজিতে প্রায় ১০ টাকা বেড়েছে। খোলা আটা ৫০, প্যাকেট (দুই কেজির) আটা ৯৬, প্যাকেট ময়দা ৬৩ টাকা কেজি। অপরদিকে সয়াবিন ৫ লিটার ৯৮৫ এবং ১ লিটার ১৯৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
[৪] ভারতীয় রসুন কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৫০, দেশী রসুন ১৪০, চিনির দাম বেড়েছে দাঁড়িয়েছে ৯০ টাকায়, কমেছে চায়না আদা কেজি প্রতি ২০ টাকা। ডিম ডজনে বেড়েছে ১৩০ টাকা, এছাড়া পিয়াঁজ ৪০ টাকা, আলু ২০ টাকা দামেই বিক্রি হচ্ছে।
[৫] মোহম্মদপুর পাইকারী বাজার কৃষি মার্কেটের বিক্রেতারা বলেছেন, বাজারে সবজি সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও সবজির বাজার ৪০-৮০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। তবে সবজি দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বাজারে আসা ক্রেতারা।
[৬] বাজার করতে আসা সাগর সরকার জানালেন, প্রইভেটকার চালিয়ে বেতন পাই ২০ হাজার টাকা। সংসারে স্ত্রী সন্তান বৃদ্ধ মা-বাবা নিয়ে সংসার। তেল, ডাল, চাল, মাছ ও সবজি থেকে শুরু করে সব কিছুরই যেভাবে দাম বেড়েছে, সংসার চালাতে দিশাহারা হয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, খরচ বাড়লেও আমার বেতন আগের মতোই আছে।
[৭] মাংসের দোকানে ক্রেতা নেই বলে জানালেন, ফরিদুর রহমান পাঠান। ব্যবসায়ী ফরিদুর রহমান আরো বলেন, মাংস বিক্রি কমে গেছে। আগে দৈনিক দু-তিনটি গরুর মাংস বিক্রি করা যেত। এখন সারাদিনে একটি গরুর মাংস বিক্রি করাও কঠিন হয়ে গেছে। তারপরও দাম কমাতে পারছি না। ৭০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।