সাজ্জাদুল ইসলাম: শিগগিরই বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতাবস্থার ঝুঁকি বেড়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা এ আশংকা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বিশ্বের বাজারের নিয়ন্ত্রকদের এ ব্যাপারে আগাম সতর্ক করে দিয়েছেন। তবে তিনি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীনের অর্থনীতির অগ্রগতির সবুজ সংকেত পাওয়া গেছে। সিএনএন
বেইজিংয়ে চীনা উন্নয়ন ফোরামের বৈঠকে ক্রিস্টালিনা আরো বলেন যে, ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে যে সাম্প্রতিক ঝড় উঠেছে, তার কারণেই এই ঝুঁকির মুখোমুখি হতে পারে বিশ্ব অর্থনীতি। তাই বিশ্ব বাজারের নিয়ন্ত্রকদের বিষয়টির প্রতি ‘একটু নজর রাখার’ পরামর্শ দিয়েছেন তিনি ।
কেন নজর রাখতে হবে তার একটা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন আইএমএফের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতি একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। সেই সমস্যার মোকাবিলা করতে বিশ্বের সমস্ত দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো তাদের সুদের হার বাড়ানোর চেষ্টা করছে। ক্রিস্টালিনার মতে, এই সব কিছুই বৃহত্তর আর্থিক ব্যবস্থাকে চাপে ফেলেছে।
ক্রিস্টালিনা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চালু থাকা কম সুদের হার থেকে হঠাৎ বেশি হারের সুদের এই উত্তরণের অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। যার মধ্যে অন্যতম হলো অর্থনীতির ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হওয়া। অর্থনীতি দুর্বল বা অতি সংবেদনশীল হয়ে পড়েছে। ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে যা ঘটেছে তাতে বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।
ক্রিস্টালিনা জানিয়েছেন, একদিকে অতি বৃষ্টি ও খবা এবং অন্যদিকে রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিশ্বজুড়ে আর্থিক প্রবৃদ্ধি কমে ৩ শতাংশেরও নিচে নেমে গেছে। ২০২২ সালে বিশ্বের গড় প্রবৃদ্ধি ছিল ৩.২ শতাংশ।
তবে তিনি বলেন, চীনের অর্থনীতির অগ্রগতির আভাস পাওয়া গেছে। দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এ বছর ৫.২ শতাংশ হতে পারে বলে মনে করছে আইএমএফ। তবে চীনে সরকারের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৫ শতাংশ। গত বছর চীনের প্রবৃদ্ধি ছিল ৩ শতাংশ মাত্র। ক্রিস্টালিনা বলেন, চীনের অর্থনীতির ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটলে এশিয়ার অন্যান্য দেশেও তার প্রভাব পড়বে এবং তাদের অর্থনীতিে গড়ে ০.৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটতে পারে।
এসআই/এএ