শিরোনাম
◈ সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাস বিরোধী অধ্যাদেশ অনুমোদন ◈ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত সঠিক: মির্জা ফখরুল ◈ বাসিত আলীর প্রস্তাব: পা‌কিস্তান সুপার লি‌গের বা‌কি খেলা বাংলাদেশে আয়োজন করা হোক ◈ অ‌স্ট্রেলিয়ান শন টেইট হ‌তে পা‌রেন বাংলা‌দেশ দ‌লের পেস বো‌লিং কোচ ◈ অবৈধ অস্ত্র, গুলি, বোমা ও গাড়িসহ আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার ◈ ভারত বাংলাদেশে পুশ ইন করছে, কোথায় খোদা বখস, কোথায় সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তর, প্রশ্ন করেছেন রিজভী ◈ পুঁজিবাজার পরিস্থিতি উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টার পাঁচ নির্দেশনা ◈ নতুন সংবিধান প্রণয়ন সময়সাপেক্ষ ব্যাপার: আসিফ নজরুল ◈ নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কার্যক্রম ঢাকা রেঞ্জে চলবে না: ডিআইজি রেজাউল ◈ সাময়িকভাবে সরকারি মালিকানায় নেওয়া যাবে যেকোনো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, অধ্যাদেশ জারি

প্রকাশিত : ২৩ মার্চ, ২০২৩, ০৪:০৩ দুপুর
আপডেট : ২৩ মার্চ, ২০২৩, ০৭:০৪ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাছ-মাংসের বাজারে আগুন, নাজেহাল নিম্ন আয়ের মানুষ

মাছ-মাংস-সবজি

সাজিয়া আক্তার: গরু ও খাসির মাংসের দাম যখন আকাশ ছোঁয়া এমতাবস্থায় মুরগির মাংস দিয়ে প্রোটিনের স্বাদ নেওয়ার চেষ্টা মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের। কিন্তু তাতেও স্বস্তি নেই সাধারণ মানুষের। সেই মুরগির মাংসের দামও বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। যা দেশের ইতিহাসে এতো দামের নজির নেই। 

শুধু কি তাই, মাছের দামও চলে যাচ্ছে নাগালের বাইরে। সবজির বাজারেও আগুন। মাংসের পর সবজি ও মাছের এ অসহীয় মূল্যে নাজেহাল নিম্ন আয়ের মানুষ।

সোনালি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকা, অথচ কয়েক দিন আগেও ছিল ২৭০ টাকা। ব্রয়লার ২৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা কয়েক দিন আগে ছিল ২৪০-২৫০ টাকা কেজি। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা, যা কয়েক দিন আগে ছিল ৭০০ টাকা। খাসির মাংস ১ হাজার ২৫০ টাকা, যা আগে ছিল ১ হাজার টাকা। যুগান্তর

মাঝারি আকৃতির রুই মাছ প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে; অথচ কয়েক দিন আগেও ছিল ২৬০ টাকা। জাপানি মাছ প্রতি কেজি ২৩০ টাকা, যা আগে ছিল ১৯০ টাকা। মৃগেল মাছ ২৫০ টাকা, যা আগে ছিল ২১০ টাকা। কই মাছ কেজি প্রতি ৩০০ টাকা, যা আগে ছিল ২১০ টাকা। মাঝারি গলদা চিংড়ি মাছ ৬০০ টাকা, যা আগে ছিল ৫৫০ টাকা। তেলাপিয়া প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা, যা আগে ছিল ১৮০ টাকা।

যেখানে গরিবের মাছ বলে পরিচিত পাঙাশও বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ১৮০ টাকা। পাবদা বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায় যা আগে ছিল ৪০০ টাকা। সুরমা মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা, যা আগে ছিল ২০০ টাকা। অন্যদিকে দেশি কই মাছ প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, যা আগে ছিল ৪০০ টাকা।  চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, যা আগে ছিল ৬০০ টাকা। শোল মাছ প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, যা আগে ছিল ৫০০ টাকা। ট্যাংরা প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, যা আগে ছিল ৩৫০ টাকা। 

এদিকে শুধু মাছ ও মাংসের দাম বাড়েনি। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডিমের দামও। বর্তমানে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, যা কয়েক দিন আগেও ছিল ৪০ টাকা।

মুরগির দাম বাড়ার বিষয়ে ব্যবসায়ী সুলাইমান ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, রমজান উপলক্ষ্যে মানুষ অতিরিক্ত মাংস কিনে ফ্রিজে রাখার চেষ্টা করছে। এ জন্য মুরগির প্রচুর চাহিদা।

এ ছাড়া সব কিছু দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মুরগির ফিডেরও দাম বেড়েছে। ফলে খামারিদের মুরগির খরচ বৃদ্ধি হওয়ায় পাইকারি দামও বেড়েছে। ফলে বাজারে বিক্রেতারাও বেশি দামে বিক্রি করছে।  

সিম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, যা আগে ছিল ৩০ টাকা, লেবু প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা অথচ কয়েক দিন আগে ছিল ২০-৩০ টাকা, মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৪০ টাকা, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা, যা আগে ছিল ৩০ টাকা, আদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, যা আগে ছিল ১০০ টাকা।

এ ছাড়া পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, যা আগে ছিল ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৪০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৬০ টাকা যা আগে ছিল ৪০ টাকা এবং কাঁচাকলা প্রতি হালি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছ। 

শুধু সবজি বাজারে নয়, ফল বাজার অধিকাংশই ফলেরও দাম বেড়েছে। বিশেষ করে রমজান উপলক্ষ্যে দাবাস খেজুর ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে অথচ কয়েক দিন আগে ২৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছিল। মরিয়ম খেজুর ১২০০ টাকা, যা আগে ছিল ১ হাজার টাকা। আজোয়া খেজুর প্রতি কেজি ৯০০ টাকা, যা আগে বিক্রি হতো ৭০০ টাকা, আপেল ৩২০ টাকা, যা আগে ছিল ২০০ টাকা, কমলা ২৪০ টাকা, যা আগে ছিল ২০০ টাকা। 

এদিকে ঊর্ধ্বগতির বাজারে কয়েকটি সবজির দাম বৃদ্ধি পায়নি। লাউ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা।

দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, আমাদের দেশে কোনো জিনিসের দাম বাড়লে পরে আর তা কমে না। যতই দিন যায়, ততই বাড়তেই থাকে।  

এসএ/এসএ 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়