মনজুর এ আজিজ: শিগগিরই বাংলাদেশে উৎপাদিত ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেখা স্বর্ণের বার বিদেশে রপ্তানি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সাবেক প্রেসিডেন্ট এনামুল হক খান। তিনি বলেন, বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর যেখানেই হাত দিয়েছেন, সেখানেই সাফল্য পেয়েছেন। এটা আমাদের জন্য গৌরবের বিষয়। সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে নরসিংদীর চিয়াংরাই চাইনিজ রেস্টুরেন্টে বাজুস নরসিংদী জেলা শাখার মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, নরসিংদী জেলা দেশের প্রসিদ্ধ শিল্পাঞ্চল। দেশের অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এ জেলার সন্তান। এ জেলা স্বর্ণশিল্প গড়ে তোলার জন্য উপযুক্ত জায়গা। আমরা স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা সমবায় সমিতির মাধ্যমে নিজেদের পুঁজিগুলো একত্র করে স্বর্ণশিল্প গড়ে তুলতে পারি। ভবিষ্যতে নরসিংদীর স্বর্ণ বিদেশে রপ্তানি হবে।
বাজুস প্রেসিডেন্টের স্বপ্ন, ২০৪১ সালে জাতীয় অর্থনীতিতে জুয়েলারি খাত অপরিহার্য অংশে পরিণত হবে। জাতীয় অর্থনীতিতে জুয়েলারি খাত শিল্প হিসেবে বিবেচিত হবে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরাও দেশের অন্য ব্যবসায়ীদের মতো সমানভাবে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারবেন। বাজুস স্বর্ণ রপ্তানি ও আমদানি সহজ করার জন্য কাজ করছে। ব্যবসায়ীদের ভ্যাট ও আয়কর দেওয়া সহজ করতে ভূমিকা রাখছে বাজুস। তারা যাতে কোনো হয়রানির শিকার না হন, সেজন্য সব সময় সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের সব স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাদের সবাইকে বাজুসের এক ছাতার নিচে আসতে হবে। যে কোনো সমস্যা সবাই মিলে সমাধান করতে হবে। সবাইকে বাজুসের দিক নির্দেশনা মেনে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। তাহলে সবাই লাভবান হবেন, কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।
বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ল’ অ্যান্ড মেম্বারশিপের সহ-সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, স্বর্ণ একটি দেশের দ্বিতীয় কারেন্সি হিসেবে বিবেচিত হয়। আমাদের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে মেইড ইন বাংলাদেশ সিল সম্বলিত স্বর্ণের বার দেশে উৎপাদিত হবে, যা রপ্তানি করা হবে বিদেশে। আর জেলায় জেলায় স্বর্ণশিল্প গড়ে উঠবে, যা থেকে জেলার ও দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হবে।
এমএএ/এএ