শিরোনাম
◈ গণঅভ্যুত্থান সরকারের কেউ কেউ ‘লুটপাট’ করে বেহুঁশ হওয়ার দশা: ইশরাক হোসেন ◈ যে কারণে পিআর পদ্ধতি চায় জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন ◈ ‘মেগাস্টার’ শব্দকাণ্ডে বিতর্ক: “আমি মানুষটা ছোট, অন্যকে ছোট করব কীভাবে” — জাহিদ হাসান ◈ এবার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন শিল্পকলার চারুকলা পরিচালক ◈ কেশবপুর পৌরসভার  সাবেক মেয়র রফিকুল গ্রেফতার ◈ বেনাপোল কাস্টমসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১৬ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় ◈ পার্বত্য চট্টগ্রামের একশ স্কুলে এবছরই ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার ◈ ডার্পা প্রযুক্তি : যেভাবে তারবিহীন বিদ্যুৎ আবিষ্কার করে অবাক করলো বিশ্বকে (ভিডিও) ◈ নির্বাচন নিয়ে আবার সন্দেহ, অনিশ্চয়তার কথা কেন আসছে? ◈ মর‌ক্কোর স‌ঙ্গে প্রী‌তি ম্যাচ খেল‌তে চায় বাংলাদেশ, ক্রীড়া উপদেষ্টার প্রস্তাব

প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারী, ২০২৩, ০১:০১ দুপুর
আপডেট : ৩০ জানুয়ারী, ২০২৩, ১০:১৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

উৎপাদন খরচের কমে ডিম ও মুরগী বিক্রি করছে খামারিরা, বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার আশংকা

বাজার

শাহীন খন্দকার: বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, বর্তমানে প্রান্তিক খামারীদের একটি ডিম উৎপাদন খরচ ১১ টাকা। ১ কেজি ব্রয়লার মুরগীর উৎপাদন ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা ব্যায় হচ্ছে। প্রান্তিক খামারীগণ এতদিন ১ কেজি ব্রয়লার মুরগী বিক্রি করতে পারছেন ১২০ টাকা আর একটি ডিম বিক্রি করছেন ৮ টাকা ফলে লস হচ্ছে ৩ টাকা। ১ কেজি ব্রয়লার মুরগীতে লস হচ্ছে ৩০ টাকা।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রান্তিক খামারী ঝরে যাওয়ার কারণ মুরগীর খাদ্যের দাম অস্বাভাবিক  বেড়েছে। ১ হাজার ৮০০ টাকার লেয়ার খাদ্য ৩ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে এবং ব্রয়লার খাদ্য ২ হাজার ২০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩ হাজার ৫০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। তাই উৎপাদন খরচ দ্বিগুণ বাড়ার ফলে প্রান্তিক খামারীগণ ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় বাধ্য হচ্ছে খামার বন্ধ করে দিতে। 

সুমন হাওলাদার বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে খামারীদের সার্বিক অবস্থা অবগত করা হলেও তারা আশ^াস দিয়ে রেখেছেন। কিন্ত কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বাজার সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হলে কর্পোরেট কোম্পানিগুলোকে ডিম ও মুরগী আমদানি বন্ধ করতে হবে।

সুমন হাওলাদার বলেন, প্রান্তিক খামারীদের উৎপাদনকে ধরে রাখতে হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের নিকট অনুরোধ জরুরী ভিত্তিতে প্রান্তিক খামারীদের টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে, অন্যথায় দেশে ডিম ও মুরগীর বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে এবং কর্পোরেটদের কাছে ডিম ও মুরগীর বাজার জিম্মি হয়ে পড়বে। 

সুমন হাওলাদার বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রান্তিক খামারীদের উৎপাদনকে ধরে রাখতে হবে। প্রান্তিক খামারীদের ন্যায্য মূল্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ন্যায্য মূল্য প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে দেশে ডিম ও মুরগীর সংকট দেখা দিবে এবং কর্পোরেট কোম্পানীর কাছ থেকে তখন পর্যাপ্ত পরিমানে দাম দিয়ে খেতে হবে ফলে ভোক্তাও জিম্মি হয়ে পড়বে তাদের কাছে।

এসকে/এইচএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়