মনজুর এ আজিজ: বুধবার দেশের শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর।
এর আগে মঙ্গলবার ডিএসইতে এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়। বাজারটিতে লেনদেন বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৮৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকায়। রেকর্ড এই লেনদেনের পরেই সূচকের বড় পতনের সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। বুধবার দিনভর ডিএসইতে ১ হাজার ৮০৮ কোটি ১৯ লাখ টাকার টাকার লেনদেন হয়েছে। আর লেনদেন কমেছে ১ হাজার ২৪ কোটি ১১ লাখ টাকা।
এদিন লেনদেনের শুরুতেই শেয়ারবাজারে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা যায়। হঠাৎ সূচক একটু বাড়লেওই পরক্ষণেই পতন হয়। প্রথম আড়াই ঘণ্টার লেনদেনে কয়েক দফা সূচকের উত্থান-পতন হয়। তবে শেষ দেড় ঘণ্টার লেনদেন সূচক টানা নিচের দিকে নামে। ফলে সবকটি সূচকের বড় পতন দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৯টির। আর ১৫৪টির দাম অপরবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৫ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে নেমে গেছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২৬ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৩৭৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪৩৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৩০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১২৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ২৬৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৬টির এবং ১১৮টির দাম অপরিবর্তিত থাকে।