মিনহাজুল আবেদীন: ডলার কারসাজির সঙ্গে জড়িত ছয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলানিউজ ২৪
সোমবার (৮ আগস্ট) পাঁচটি দেশি ও একটি বিদেশি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে ট্রেজারি বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, যারা খোলাবাজারে ডলারের অবৈধ ব্যবসা করছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এখন পর্যন্ত পাঁচটি মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি ৪৫ মানি এক্সচেঞ্জকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের পাশাপাশি আরও নয়টি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানগুলো লাইসেন্স না নিয়েই ব্যবসা করে আসছিলো।
অন্যদিকে, সোমবার খোলাবাজারে ডলারের দাম ১১৪ টাকা থেকে ১১৫ টাকায় পৌঁছেছে। যা এযাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ দাম। এর আগে গত ২৭ জুলাই খোলাবাজারে দর উঠেছিলো ১১২ টাকা।
এদিন ২৫ পয়সা বাড়িয়ে আন্তঃব্যাংকে ৯৪ টাকা ৯৫ পয়সা ডলারের নতুন দাম বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আজ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ১৩৯ মিলিয়ন বা প্রায় ১৪ কোটি ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কোভিড পরবর্তীসময়ে আমদানি বৃদ্ধি ও রেমিট্যান্স কমে যাওয়ায় বেশ বিপাকে দেশের আর্থিক খাতগুলো। এ পরিস্থিতি আরো কঠিন করেছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। বর্তমানে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে সরবরাহ খরচ বেড়েছে। এতে তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে ডলারের। বাজার স্বাভাবিক রাখতে রিজার্ভ থেকে ডলার ছাড়ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে কমতে শুরু করেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এলসি খোলা কিংবা আমদানি পণ্যের পেমেন্ট পরিশোধের জন্য তাদের অনেকে বেশি দরে ব্যাংক থেকে ডলার নিতে হচ্ছে। সময়মতো আমদানি বিল পরিশোধ করতে না পারলে হুমকির মুখে পড়বে বাণিজ্য। তাই ডলারের উৎসের দিকে না তাকিয়ে যে কোনো মূল্যে ডলার কিনছেন আমদানিকরকরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে ব্যাংকের মতো খোলাবাজারেও ডলারের সংকট দেখা দিয়েছে। যা চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত ডলার নেই। প্রবাসী আয় কমেছে, বিদেশি পর্যটকও কম আসছেন। এসব কারণে বাজারে ডলারের সরবরাহ কমে গেছে। জাগোনিউজ ২৪
আপনার মতামত লিখুন :