চিংড়ি খাতের বিদ্যুৎ বিলে ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। গতকাল বৃহস্পতিবার চিংড়ি খাত পুনরুদ্ধারে নীতিসহায়তা বিষয়ক এক নীতি সংলাপে একথা জানান তিনি।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআই) এবং বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএফইএ) যৌথভাবে ‘বাংলাদেশের চিংড়ি খাত পুনরুদ্ধারে নীতিসহায়তা রূপান্তর’ শীর্ষক এই নীতি সংলাপের আয়োজন করে। পিআরআইএর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরিদা আখতার ভর্তুকি ও প্রণোদনার মাধ্যমে চিংড়ি খাতের প্রতি বৈষম্য কমানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, শিগগিরই এই খাতের বিদ্যুৎ বিলে ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। এ ছাড়া একটি বিশেষায়িত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ. মনসুর বলেন, চিংড়ি খাতে বৃহৎ পুনর্গঠন ও শক্তিশালী মনিটরিং প্রয়োজন। এ ছাড়া রোগ ব্যবস্থাপনা, জাত উন্নয়ন ও এ খাতের সুশাসনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
পিআরআইর গবেষণা পরিচালক ড. বজলুল হক খন্দকার অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, উৎপাদনশীলতা, মূল্য সংযোজন এবং খাত-নির্দিষ্ট প্রণোদনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিংড়িশিল্প ভারত, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছে। প্রতিযোগী দেশগুলো যখন স্বল্প সুদের ঋণ, বীমা, বন্ডেড গুদাম ও নানা ধরনের ভর্তুকি দিচ্ছে, তখন বাংলাদেশের সহায়তা ব্যবস্থা সীমিত রয়েছে। তাছাড়া ব্রুডস্টকের ওপর উচ্চ শুল্ক এবং চাষি ও প্রক্রিয়াকারকদের জন্য সীমিত অর্থায়ন বড় বাধা হিসেবেও রয়ে গেছে।
বিএফএফইএর সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী উদ্বোধনী বক্তব্য দেন। ২০৩০ সালের মধ্যে চিংড়ি রপ্তানি তিনগুণ বাড়ানোর আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আরও বক্তব্য দেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুর রউফ, বাংলাদেশ সামুদ্রিক মৎস্যশিল্প সমিতির সভাপতি মো. এনাম চৌধুরী, বিএফএফইএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. তারিকুল ইসলাম জহির, সীমার্ক (বিডি) লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল আহমেদ প্রমুখ।
সূত্র: সমকাল