মাগুরায় অর্থের বিনিময়ে পাওয়া ভোটার কার্ড নিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক সদস্য পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন।
বুধবার দুপুরে মাগুরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা মো. রিয়াস নামের ওই ব্যক্তিকে সদর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছেন। একদিন আগে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে পাওয়া ভোটার কার্ড নিয়ে তিনি মাগুরা পাসপোর্ট অফিসে যান। সেখানে দেওয়া কাগজপত্রে তার বাবার নাম রতন আলি মৃধা, মা মোছা. শুকুরন খাতুন এবং গ্রামের ঠিকানা মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার আমতৈল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
মাগুরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সূত্রে জানা যায়, মো. রিয়াস নামের ওই ব্যক্তি পাসপোর্ট করতে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে পাসপোর্ট অফিসে জমা দিলে বুধবার তার দেওয়া কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। পরে ফিঙ্গার প্রিন্ট যাচাইকালে জাতীয় সার্ভারেও তার দেওয়া সব তথ্য সঠিক দেখা যায়; কিন্তু তার কথাবার্তায় অসংলগ্নতা দেখা গেলে বিষয়টি মাগুরা জেলা নির্বাচন অফিসারকে জানিয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এ সময় সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা হিসেবে পরিচয় দেন এবং ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই ব্যক্তি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা নির্বাচন অফিস সংশ্লিষ্ট একটি চক্রকে দিয়ে নিজের নামে জাতীয় পরিচয়পত্রটি তৈরি করিয়েছেন বলে স্বীকার করেন।
মাগুরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ কামাল হোসেন খন্দকার বলেন, তার কাগজপত্র সঠিক দেখা গেলেও কথাবার্তায় অসংলগ্নতার কারণে তাকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। এই এলাকার একটি অসাধু চক্র এ কাজের সঙ্গে জড়িত বলে জানতে পেরেছি। অধিক তদন্ত করা গেলে এ বিষয়ে আরও অনেক তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
মাগুরা জেলা নির্বাচন অফিসার ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ বলেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসের মাধ্যমেই তার ভোটার আইডি কার্ড তৈরি হয়েছে। এ দেশের নাগরিক না হওয়া সত্ত্বেও কোনো ডকুমেন্টের ভিত্তিতে কিভাবে তাকে ভোটার করা হয়েছে সেটি তদন্ত করতে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।