শিরোনাম
◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা ◈ ভারতের নেপাল নীতিতে 'রিসেট বাটন' চাপলেন মোদি, শিক্ষা বাংলাদেশের কাছ থেকে

প্রকাশিত : ০৫ আগস্ট, ২০২২, ১০:৩৫ দুপুর
আপডেট : ০৫ আগস্ট, ২০২২, ১০:৩৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কৃষক ঝুঁকছেন আখ চাষে, হচ্ছেন লাভবান 

আখ চাষ

তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর ও  কসবা উপজেলার বিভিন্ন জমিতে দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আখের চাষ। জমিতে আখ চাষে  তুলনামূলকভাবে লাভ বেশি হওয়ায় অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি এদিকে ঝুঁকছেন কৃষকেরা। বর্তমানে সীমান্তবর্তী এই এলাকায় আখের চাষ বাড়ছে।

কসবা উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এ বছর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে আখের চাষ হয়েছে। অন্যান্য ফসলের চেয়ে আখ চাষে তুলনামূলকভাবে খরচও কম লাগে। 

কৃষকেরা জানান, ভালো মানের আখ জমি থেকেই ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস দরে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পাইকারেরা। একবার আখ লাগালে তিন বছর ফলন পাওয়া যায়। গোঁড়া থেকে আখ কেটে নিলে অবশিষ্টাংশ থেকে আবার জন্মায়। তা ছাড়া বিক্রির সময় কেটে রাখা আখগাছের আগা থেকেও চারা উৎপাদন করা যায়। প্রতি বিঘা জমিতে বছরে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা লাভ পাচ্ছেন তাঁরা।  

বেশ কয়েক বছর জমিতে আখ চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন বিজয়নগর উপজেলার  গ্রামের কৃষক হাসান মিয়া। এ বছরও তিনি ৬০ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘গত বছরও ৬০ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেছিলাম। ৬০ শতাংশ জমিতে পরিচর্যা ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে ব্যয় হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। আর আখ বিক্রি করেছি প্রায় তিন লাখ টাকার। এতে আয় হয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা। আমার এই আয় ও সফলতা দেখে এলাকার অনেক কৃষক আখ চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। শুধু তাই নয়, পার্শ্ববর্তী বাদৈর গ্রামের কৃষক কবির আহাম্মদ এ বছর দুই বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় তিনি আশা করছেন, আখ বিক্রি করে কয়েক লাখ টাকা আয় হবে।’

উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের শিমরাইল গ্রামের ইউনুছ মিয়া জানান, তিনি এ বছর ৪০ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেছেন। আশা করছেন খরচ বাদে তাঁর দুই লাখ টাকার বেশি লাভ হবে। গত বছরও তাঁর দুই লাখ টাকা লাভ হয়েছিল। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম বলেন, উপজেলায় অন্যান্য ফল ও ফসলের পাশাপাশি দিনে দিনে আখের চাষ বাড়ছে। লাভজনক ফসল হওয়ায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অনেকেই আখ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এ বছর উপজেলায় ১৫ হেক্টর জমিতে আখের চাষ করা হয়েছে। ফলনও ভালো হচ্ছে। অনেক কৃষক আগামী বছর আখ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। সম্পাদনা: হ্যাপী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়